ধর্ষণ থামছেই না
সম্প্রতি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ধর্ষণ। রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ-আন্দোলনের মধ্যেই ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় মজনু নামের এক যুবককে। এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হলেও ধর্ষণ থামছে না কিছুতেই। প্রতিদিন একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন তরুণী থেকে বৃদ্ধা। এমনকি শিশুরাও বাদ পড়ছে না পাশবিক নির্যাতন থেকে। অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনায় ধর্ষককে সহযোগিতা করছেন নির্যাতিতার আপনজনরাই।
সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায়। জানা গেছে, কামরাঙ্গীচরের ব্যাটারিঘাট এলাকায় বাবার সহায়তায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পাশাপাশি তার বাবাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পরপরই গত মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৯৯৯-এ কল পেয়ে মেয়েটিকে নিজ এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, এই ঘটনায় এক প্রতিবেশী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলার পর নির্যাতিতা কিশোরীর পিতাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে আটকে রাখার নির্দেশ দেন ঢাকা মেট্টেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম। এ বিষয়ে কামরাঙ্গীরচর থানার (এসআই) সোনিয়া পারভিন মানবজমিনকে জানান, এর আগে গত ১৪ই জানুয়ারি দিবাগত রাত ২টার সময় কামরাঙ্গীর চরের ব্যাটারিঘাট এলাকা থেকে কিশোরীর পিতাকে গ্রেপ্তার করে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ। কামরাঙ্গীরচর ব্যাটারিঘাট এলাকায় থাকে কিশোরীর পরিবার। তার মা বিদেশে থাকেন। বাবা একটি মুরগীর দোকানে কাজ করে। দোকানের মালিক আবুল (৩৫) কিশোরীর বাবার কাছে ছয় হাজার টাকা পায়। সেই টাকা দিতে পারছিল না কিশোরীর পিতা। একপর্যায়ে টাকার বিনিময়ে তার মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় দোকানের মালিক আবুল। দীর্ঘদিন চেষ্টার পর কয়েকদিন আগে কিশোরীর বাবার সহায়তায় তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাশের বাসার এক নারীর কাছে সব ঘটনা খুলে বলে। এরপর ওই মহিলা ৯৯৯-এ কল দেন। কল পেয়ে নির্যাতিতা কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলার প্রধান আসামি ধর্ষক আবুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আবুলের বাড়ি কামরাঙ্গীচরের উসমানঘাট এলাকায়।
এদিকে, হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর এলাকায় চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে আট বছরের এক শিশুকে ধষর্ণের অভিযোগ ওঠেছে। অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে মঙ্গলবার রাত ১২টায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে সকালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ভোর রাতে ধর্ষণের অভিযোগে শাহিন মিয়া নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সকালে ওই শিশুর বাবা-মা তাকে ঘরে একা রেখে কাজে চলে যায়। এ সুযোগে প্রতিবেশী শাহীন মিয়া চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ ঘরে নিয়ে যায় শিশুটিকে। পরে দরজা বন্ধ করে মুখে কাপড় দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে অসুস্থ অবস্থায় তাদের ঘরে রেখে যায়। সন্ধ্যায় কাজ শেষে বাবা-মা বাড়ি ফিরলে শিশুটি ধর্ষণের ঘটনা তাদেরকে জানায়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শাহীন ওই গ্রামের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা। হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক মিয়া জানান, আমরা শাহীন মিয়া নামে একজনকে আটক করেছি। তবে এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা দায়ের হয়নি।
কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মৌলভীবাজার সরকারী মহিলা কলেজের একাদশ দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী বান্ধবীসহ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে সদরের ওয়াপদা (স্টেডিয়াম) এলাকায় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার দুজনই মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগের ভিত্তিতে দুই ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার তিনটি পৃথক অভিযোগে সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার ও রোববার পৃথক লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলো- আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার বাসিন্দা আলহাজ (৫৫) ও পটুয়াখালীর দশমিনা সদর থানার আবুল হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন (৩৪)। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, গত ১১ই জানুয়ারি, শনিবার বিকেলে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় বাড়ির পাশের একটি মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল সাত বছরের এক শিশু। এসময় প্রতিবেশি আলহাজ কৌশলে শিশুটিকে মাঠের একপাশে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে শিশুটি চিৎকার দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে গিয়ে তার পরিবারকে জানায়। শিশুর পরিবার রাতে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে। এছাড়া সাভারের আড়াপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে নয়ন মোল্লা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মৌলভীবাজারে বান্ধবীসহ কলেজছাত্রী ধর্ষণ তিন ধর্ষকের জবানবন্দি
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে জানান, মৌলভীবাজারে বান্ধবীসহ কলেজছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলো- সদর উপজেলার উত্তর জগন্নাথপুরের ইসমাইল মিয়ার পুত্র মুন্না মিয়া (২৬), হাসিব উদ্দিনের পুত্র আকাশ (২২) ও ছুরফ মিয়ার পুত্র হুমায়ুন (২০)। এরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। গতকাল মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় গ্রেপ্তারকৃতরা। জবানবন্দিতে তারা বলেছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ধর্ষণ ঘটনায় গাড়ি চালকসহ ৫ জন জড়িত ছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে জেলা শহরের ওয়াপদা এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার দুইজনই মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওদিকে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী বান্ধবীসহ গণধর্ষণের ঘটনা চাউর হওয়ার পর জেলাজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ক্ষোভে সোচ্চার মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজ, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজসহ আশেপাশের কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। শহরের মধ্যে ধর্ষকদের এমন দুঃসাহসিকতায় হতবাক সচেতন মহল। তারা এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। ঘটনার পরপরই তৎপর হয় পুলিশ। তারা রাতের মধ্যেই ৩ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। মঙ্গলবার বিকালের দিকে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবের সামনে এসে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের এক ছাত্রী (১৮) ও তার বান্ধবী (২০) উঠেন। কিছুক্ষণ পর যাত্রীবেশে চারজন ছেলে ওই সিএনজি অটোরিকশাতে উঠে। তারা চালককে সিএনজি ঘুরিয়ে তাদের কথামতো চালিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়। চালক তাদের কথামতো গাড়ি নিয়ে চলে। ওই চারজন গাড়ির পর্দা টেনে দুই বান্ধবীর হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে শহরের ওয়াপদা স্টেডিয়াম এলাকার পেছনে একটি ঝোপে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের মারধর করে মোবাইল ফোন, বই ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদের পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতারা পুলিশকে জানালে পুলিশ তাদের আত্মীয়স্বজনকে খবর দেয়। দু’জনকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবিষয়ে ধর্ষিত কলেজছাত্রী বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমঙ্গীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে মানবজমিনকে জানান, ধর্ষিতাদের বাড়ি সদর উপজেলার বাউরভাগ গ্রামে। এ বিষয়ে ধর্ষিতা কলেজছাত্রী বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে আমরা অভিযুক্ত ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আটককৃত আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। অন্য আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হবিগঞ্জে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ, আটক ১
স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে জানান, হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগরে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে মঙ্গলবার রাত ১২টায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে সকালে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার ভোররাতে ধর্ষণের অভিযোগে শাহিন মিয়া নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সূত্র মতে প্রতিদিনের ন্যায় সকালে ওই শিশুর বাবা-মা তাকে ঘরে একা রেখে কাজে চলে যায়। এ সুযোগে প্রতিবেশী শাহীন মিয়া চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ ঘরে নিয়ে যায় শিশুটিকে। সেখানে দরজা বন্ধ করে মুখে কাপড় দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে অসুস্থ অবস্থায় তাদের ঘরে রেখে যায়। সন্ধ্যায় কাজ শেষে বাবা-মা বাড়ি ফিরলে শিশুটি ধর্ষণের ঘটনা তাদের অবগত করে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শাহীন ওই গ্রামের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রথীন্দ্র দেব দৈনিক মানবজমিনকে জানান, শিশুটিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট পরে দেয়া হবে। হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মাসুক মিয়া জানান, আমরা শাহীন মিয়া নামে একজনকে আটক করেছি। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
সাভারে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে জানান, সাভারের আশুলিয়ায় বকেয়া বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় স্বামীকে আটকে রেখে এক নারী শ্রমিককে (২৪) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত বাড়ির মালিক মো. কালামকে গ্রেপ্তার করলেও পলাতক রয়েছে বাকীরা। সোমবার গভীর রাতে আশুলিয়ার পশ্চিম জামগড়া এলাকার ফকির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বাড়ির মালিক মো. কালাম (৪৫) পেশায় একজন ফার্মেসি ব্যবসায়ী। সে আশুলিয়ার পশ্চিম জামগড়া এলাকার ফকির বাড়ির বাসিন্দা। ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকের অভিযোগ, তিনি পশ্চিম জামগড়া এলাকায় মো. কালামের বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থেকে ডিইপিজেডের একটি তৈরি পোশাক কারাখানায় চাকরি করেন। সোমবার রাতে পরিবহন চালক স্বামীকে নিয়ে তিনি নিজ কক্ষেই ছিলেন। একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে বাড়ির মালিক কালাম তার পাঁচ সঙ্গী নিয়ে বকেয়া ডিসেম্বর মাসের ২ হাজার টাকা ভাড়ার জন্য আসেন। এসময় কারখানায় তাদের বেতন পরিশোধ করা হয়নি বলে বাড়ির মালিককে জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে আটক রেখে জোরপূর্বক তার স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নেয় তারা। একপর্যায়ে তিন জন মিলে তার হাত-পা চেপে ধরলে প্রথমে বাড়ির মালিক তাকে ধর্ষণ করে।
পর্যায়ক্রমে বাকি তিনজন ভোর ৪টা পর্যন্ত তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় মঙ্গলবার আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূল অভিযুক্ত বাড়ির মালিক মো. কালামকে গ্রেপ্তার করলেও বাকীরা পলাতক রয়েছে। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী শ্রমিকের অভিযোগের ভিত্তিতে বাড়ির মালিক মো. কালামকে গ্রপ্তার করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করে বাকী অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে। অন্যদিকে, সাভারে এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ। এর আগে গত ১২ই জানুয়ারি পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের কামাল গার্মেন্ট রোড এলাকায় একটি বাড়িতে এ ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা নয়ন মোল্লা (৭৫) কে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলি আক্তার বলেন, মামলা দায়েরের পর শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
চিরিরবন্দরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, চিরিরবন্দরে ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মোরসালিন (২১) নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের পশ্চিম মিলপাড়ার আশরাফ আলীর নির্মাণাধীন বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ওই দিন দুপুরে শিশুটি বাড়ির সামনে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা করছিল। এসময় মোরসালিন ওই শিশুটিকে কৌশলে আশরাফ আলীর নির্মাণাধীন বাড়ির ভিতর নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির চিৎকারে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে ছুঁটে এলে ধর্ষক মোরসালিন পালিয়ে যায়। শিশুটিকে উদ্ধার করে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।