রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলায় প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুর রেজাক খানসহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ২৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে তাদের আবেদন খারিজ করে এই আদেশ দেন। একইসাথে এ মামলায় আদালত খন্দকার মাহবুবসহ অন্য আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বিএনপি নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী মনির হোসেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, আইনজীবী ফেরদৌস আক্তার ওয়াহিদা, তৌহিদুল ইসলামসহ ৭২ জন। তাদের সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ এ মামলায় গঠন করা হয়েছে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়াসহ পাঁচ থেকে সাতটি অভিযোগে পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে এই গায়েবী মামলা দায়ের করে। আমি এই গায়েবী মামলা থেকে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলাম। আজ আদালতে হাজির হলে আমার কাছে বিচারক জানতে চান, আমি দোষী না নির্দোষ। আমি আদালতকে বলেছি, আমিসহ এ মামলার অন্য আসামিরা সম্পূর্ণ নির্দোষ। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এ মামলা করা হয়েছে।
খন্দকার মাহবুব হোসেনের পক্ষে আদালতে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা। তিনি বলেন, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে এ মামলায় খন্দকার মাহবুব হোসেনসহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুর রেজাক খানসহ অন্য আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে এ মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে অব্যাহতির আবেদন খারিজ করেন। তবে খন্দকার মাহবুবসহ অন্যদের জামিন দিয়েছেন আদালত।
২০১৮ সালে পল্টন থানায় নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে এ মামলা করা হয়। খন্দকার মাহবুবসহ ৭২ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে নিম্ন আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেন খন্দকার মাহবুবসহ অন্য আসামিরা। পুলিশ তদন্ত করে ২০১৯ সালে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করে। এরপর আজ শুনানি শেষে আদালত ৭২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন।