কবিগুরুর রচনা চিরকাল মানবপ্রেম-দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শান্তি ও মানবতার কবি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা মানুষকে চিরকাল মানবপ্রেম ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার আহ্বান তার সৃষ্টির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
রোববার (৮ মে) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিশ্বকবি, স্বপ্নদ্রষ্টা, রবীন্দ্রনাথ মানবজীবনকে নানা বৈচিত্র্যে উদ্ভাসিত করতে তার সৃষ্টিকর্মে শিল্পমণ্ডিত ঐশ্বর্য্যের মায়াবী স্বপ্নের জগৎ বিনির্মাণ করেন। তার রচনায় একইসঙ্গে সমাজ চেতনা ও মানব প্রেমের শ্বাশত বাণী বিধৃত হয়েছে, আবার অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার আহ্বান তার সৃষ্টির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। শান্তি ও মানবতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা মানুষকে চিরকাল মানব প্রেম ও দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি বলেন, অবিনাশী সৃষ্টির দ্বারা রবীন্দ্রনাথ কবি, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ভাষাবিজ্ঞানী, দার্শনিক, সংগীত রচয়িতা ও সুরকার হিসেবে এক উচ্চমাত্রায় নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন। তিনি বাংলা সাহিত্যের যুগোত্তীর্ণ শ্রেষ্ঠ লেখক ও বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের একজন। ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞান চেতনা ও শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কবিগুরু ছিলেন সমাজ, রাজনীতি ও সামাজিক সম্প্রীতির অক্লান্ত ভাষ্যকার। তার অনন্য সৃষ্টিতে চিরাচরিত ধারার বাইরে স্বাতন্ত্র্য ধর্মের পরিচয় মেলে। ধর্ম-লোকাচার, রাজনীতি ও সমাজচিন্তা এবং বিশ্বভাবনায় এ স্বাতন্ত্র্যবোধ তার বিশাল সাহিত্য সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে বাংলা ভাষাভাষির মানসলোক নির্মাণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বাণীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মার শান্তি কামনা করেন মির্জা ফখরুল।