প্রতিবাদী হয়ে সমাজের মানুষের স্বার্থে কাজ করা তরুণীকে ছাত্রলীগ নেতার ধর্ষণ
প্রতিবাদী হয়ে সমাজের মানুষের স্বার্থে কাজ করা তরুণীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সহসভাপতি শাহীন আলমের বিরুদ্ধে। ব্যবসা করার কথা বলে, অফিসে ডেকে নিয়ে ওই নারী উদ্যোক্তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ওই নেতা।
এ ঘটনাকে মীমাংসা করার চেষ্টা করেন গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোশারফ ভূঁইয়া। তিনি তাদের বিয়ে দেওয়ার কথা বলেও কালক্ষেপণ করেছেন।
অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতা উপজেলার জৈনাবাজার নগর হাওলা ধনুয়া এলাকার ওয়াহিদ মিলিটারির ছেলে। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে শ্রীপুর মডেল থানা, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার ওই নারী উদ্যোক্তা।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, গত বছরের ৮ জুলাই সন্ধ্যায় আমার থেকে কিছু পণ্য কেনার কথা বলে একটি অফিসে ডেকে নিয়ে যায়। পরে আমাকে দইয়ের মধ্যে নেশা জাতীয় কিছু একটা মিশিয়ে দই খাওয়ানোর পর আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
আমি এ বিষয়ে আইনগত সহযোগিতা চাইতে গেলে গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমার সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে কালেমা পড়িয়ে রাখে এবং বিয়ে রেজিস্ট্রির জন্য কিছুদিন সময় নেয়।
এতদিন পর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী জানান, ৪ এপ্রিল শাহীন আলম অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে। তাই আমি প্রশাসনের কাছে সুবিচার দাবি করছি।