বরিশালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, প্রতিবাদ করায় মারধর
বরিশালে ভুল চিকিৎসায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় রোগীর স্বজনদের আটকে মারধর, পরে হাসপাতালের স্টাফদের গণধোলাই দেওয়ার খবর মিলেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টাযর দিকে নগরীর সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা সংলগ্ন সেন্ট্রাল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। মৃত রুবি আক্তার নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের দিয়াপাড়া এলাকার রফিক সিকদারের স্ত্রী।
মৃত রুবির দেবর সুমন সিকদার বলেন, ‘আমার ভাবি রুবি আক্তার গর্ভবতী ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় ডা. মুন্সী মুবিনুল হক সিজার করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পরই বের হয়ে জানান, ভাবি মারা গেছেন। তবে বাচ্চা সুস্থ আছে।’
সুমন সিকদারের অভিযোগ, ‘অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশের পূর্বে ভাবি পুরোপুরি সুস্থ ছিল। ভাবি কীভাবে মারা গেছে, সেটা জানতে চাইলে আমাদের সঙ্গে হাসপাতালের স্টাফরা খারাপ ব্যবহার করেন। পাশাপাশি যে পরীক্ষাগুলো দেওয়া হয়েছিল, সেই পরীক্ষার রিপোর্টগুলোতে তারিখ দেওয়া রয়েছে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি।’
সুমন বলেন, ‘অসংলগ্ন বিষয়াদী চোখে পড়ায় প্রতিবাদ করলে আমাদের আটকে মারধর করা হয়। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে আমাদের উদ্ধার করে এবং হাসপাতালের স্টাফদের গণধোলাই দেয়। এরপরেই হাসপাতালের স্টাফরা পালিয়ে যায়।’
প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল স্টাফদের মারামারির পর স্বজনদের কয়েকজন হাসপাতালে ইট নিক্ষেপ করে। কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের স্টাফরা পালিয়ে যায়।’
এদিকে হাসপাতালে গিয়ে কোনো চিকিৎসক বা স্টাফ পাওয়া যায়নি। দেখা যায়নি কোনো রোগীকেও।
এই বিষয়ে ডা. মুন্সী মুবিনুল হকের সঙ্গে বারবার চেষ্টার পরও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, ‘রোগীর মৃত্যু নিয়ে স্বজন ও হাসপাতালের লোকজনের সঙ্গে ঝামেলার খবর শুনে এখানে এসেছি। এসে হাসপাতালের কাউকে পাইনি। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। মৃত রোগীর স্বজনদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’