এম এ মান্নানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা বিএনপির

আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম এ মান্নানের কফিন নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। প্রথমে কফিনটি দলীয় পতাকা দিয়ে আচ্ছাদন করার পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।

তার কফিনে পুস্পস্তবক অর্পণ করে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন নেতৃবৃন্দ এবং বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অধ্যাপক এমএ মান্নান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭২ বছর।

নয়া পল্টনে তার জানাজায় বিএনপির নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, জয়নুল আবদিন ফারুক, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, হুমায়ুন কবির খান, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবু আশফাক খন্দকার, আনোয়ার হোসেইন, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

জানাজার আগে প্রয়াত নেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অধ্যাপক এম এ মান্নানের ছেলে মনজরুল করীম রনি তার প্রয়াত বাবার জন্য সকলের কাছে দোয়া চান। পরে তার কফিন অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় গাজীপুরে। সেখানে বাদ জুম্মা রাজবাড়ি মাঠে এবং বাদ আসর সালনায় সর্বশেষ জানাজার পর গ্রামের বাড়িতে তার পারিবারিক কবরাস্থানে অধ্যাপক এম এ মান্নানকে দাফন করা হবে।

গাজীপুর জেলা বিএনপির তিন দিনের শোক: অধ্যাপক এম এ মান্নানের মৃত্যুতে গাজীপুর জেলা বিএনপি তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কোরআন খতম, ইফতার মাহফিল ও দোয়া মাহফিলসহ দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরনের মাধ্যমে এ কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধরাণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান।

অধ্যাপক এমএ মান্নান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে প্রার্থীদের মধ্যে সর্বাধিক ভোট পেয়ে গাজীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৯১ সালের খালেদা জিয়া সরকারের ধর্ম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে অধ্যাপক এম এ মান্নান।