সবকিছুতেই অপরাজনীতি করা হচ্ছে — আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের সব অবকাঠামোগুলোতেই দলীকরণ করা হয়েছে। যার কারণে সমাজের মানবতামূলক সেবা কাজেও বাঁধা দেওয়ার, হয়রানী করার এমনকি সেই মহৎ কাজকে বন্ধ করে দেওয়ারও রেওয়াজ চালু হয়েছে।
মঙ্গলবার, জানুয়ারি ১৪, ২০২০, রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ লায়ন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ঢাকা মেগাসিটি লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ লায়ন্স ফাউন্ডেশন ও লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগিতায় বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ২০১৯’এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।
আমীর খসরু বলেন, আজকে আমাদের দেশে কেউ ভালো কাজ করতে গেলে বাঁধার সল্ফ§ুখীন হতে হয়। এর চেয়ে দুঃখের বিষয় আর হতে পারে না। কারণ এটা তো কোন রাজনীতি না। যারা ভালো কাজে বাঁধা দেয় তারা অপরাজনীতি করে। এটা হচ্ছে গণবিরোধী রাজনীতি। জনগণের বিপক্ষের রাজনীতি।
তিনি বলেন, তারাতো রাজনীতি করেন জনগণকে মাথায় নিয়ে। মানুষের বিভিন্ন আদর্শ থাকতে পারে। সে কাকে ভোট দিবে, তার আলাদা মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু যখন সে ভালো কাজ করবে তখনতো ভালো কাজে বাঁধা দেওয়ার অধিকার কারো নাই। জোর করে রাজনীতি করার অপচেষ্টা থেকে বড় অন্যায় আর কিছু হতে পারে না। রাজনীতি তো মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। রাজনীতি করতে গেলে উদারতা থাকতে হবে। আর ভালো কাজে সহায়তা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য যা যা করার সবই করা হচ্ছে। তাতে দেশের মানুষের ভালো হলো নাকি খারাপ হলো সেটা কেউ চিন্তা করছে না। কিন্তু এভাবে মানুষ আর কত চুপ করে থাকবে। মানুষ একদিন ঠিকই তার কথা বলবে।
২০০৯ সাল থেকে বাগেরহাটের রামপাল ও মংলা এলাকা থেকো চোখের অপারেশন কার্যত্রক্রম শুরু করেন ঢাকা মেগাসিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। গত ১২ বছর ধরে ৪৭০০ জন রোগীর অপারেশন করা হয়েছে এবং চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন। চলতি বছরও তার সহযোগিতায় ২২০ জনের বিনামূল্যে চোখের অপারেশন করা হয়।
ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, গরীব, অসহায় মানুষের চোখের চিকিৎসা করার জন্য তিনি চক্ষুশিবির কার্যত্রক্রমে প্রথমে তিনি কোন রাজনৈতিক দলের বাঁধা না পেলেও এখন ক্ষমতাসীনদের প্রবল রোষাণলে পড়তে হচ্ছে। ওই দলের বাঁধার কারণে চক্ষু শিবিরের জন্য কোন সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেগাসিটি লায়ন্স ক্লাবের পরিচালক লায়ন খন্দকার মোবারক হোসেন, প্রধান সমন্বয়কারী খান আলী আজম।