মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে

0

তুচ্ছ ঘটনায় বরগুনায় এক মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

আহত মুক্তিযোদ্ধার নাম আবদুল জব্বার। পাঁচ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বুধবার সকালে তার ছেলে রিপন বাদী হয়ে একটি মামলার আবেদন করেছেন।

ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম মেডিকেল সার্টিফিকেট তলব সাপেক্ষে ২২ মে আদেশের দিন ধার্য রেখেছেন।

আসামিরা হলেন— বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা গ্রামের মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে আউয়াল, সোহরাব হাওলাদারের ছেলে হারুন ও আউয়ালের স্ত্রী চম্পা। আউয়াল আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।

অভিযোগে বলা হয়েছে, আউয়াল গরু দিয়ে ২৩ এপ্রিল সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বারের ছেলে জহিরুল ইসলামের ক্ষেতের মুগডাল খাওয়ায়। জহিরুলের ছেলে ছোটন প্রতিবাদ করতে গিয়ে আউয়ালকে গালমন্দ করেন। এতে আউয়াল অপমানবোধ করেন। ওই দিন বিকাল ৫টার দিকে আউয়াল মুক্তিযোদ্ধাকে তার বসতঘরে ডাকেন।

উভয়ের মধ্য প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আউয়াল উত্তেজিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে খুনের উদ্দেশে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে মুক্তিযোদ্ধার বাম হাতে মারাত্মক জখম হয়। হারুন ও চম্পা রড দিয়ে আবদুল জব্বারকে পিটিয়ে জখম করে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আউয়াল একটি মাটি কাটার কোদাল নিয়ে আবদুল জব্বারকে খুন করার জন্য মাথার ওপর কোপ দেন। অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা কাত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে সেই কোপ বীর মুক্তিযোদ্ধার বাম পায়ে পড়ে মারাত্মক জখম হয়।

মুক্তিযোদ্ধা জব্বার বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে বসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি ১৯৭১ সালে সম্মুখযুদ্ধ করে বেঁচে আছি। আজ ৭৫ বছর বয়সে আউয়াল ও তার লোকজন তুচ্ছ ঘটনায় আমাকে হত্যা করার জন্য কুপিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। আমি বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলাম। ওসি সাহেব বলেন আপোস হয়ে যেতে।

 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com