সারাদেশে সরকারের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি হচ্ছে: ড. মোশাররফ
ঢাকাসহ সারাদেশের সব মার্কেটে সরকারের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া বিএনপির মহানগর নেতা মকবুল হোসেনের মুক্তি ও নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, এদেশ যারা শাসন করেন এবং এই অবৈধ সরকারের যারা পেটুয়া বাহিনী তাদের চাঁদাবাজির কারণেই নিউ মার্কেটের ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। শুধু নিউ মার্কেটের ঘটনা নয়, ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশের সকল মার্কেটে আজকে কারা চাঁদাবাজি করছে সরকারের ছত্রছায়ায় যারা সরকারি দল করে, তাদের অঙ্গসংগঠন করে তারা চাঁদাবাজি করছে।
নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘটিত ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই নিউ মার্কেটের দোকানিদের প্রতিবাদকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য যারা হামলা করে এরা কারা?
যারা চাঁদাবাজি করেছিল আর সেই কথাকে ধামাচাপা দিতে হামলা করেছে, যেখানে দুই জন নিহত ও বহু আহত হয়েছিল।
আজকে জনগণের প্রশ্ন, কেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় না? অথচ মকবুল হোসেন আমাদের নেতা এবং নিউ মার্কেটে তার দোকান আছে এটাই তার দোষ। সেজন্য আজকে গ্রেফতার এবং তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। আশ্চর্যের বিষয় সেলুকাস এই বাংলাদেশ আমরা দেখছি। এমন ঘটনা গত ১৪ বছর তারা বহু ঘটিয়েছে। আমরা দেখেছি যেখানে প্রতিবাদ সেখানেই এই সরকার ঝাঁপিয়ে পড়েছে বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে।
তিনি বলেন, আজকে আমরা এই রমজান মাসে প্রতিবাদ করতে এসেছি। আমি শুধু বলতে চাই, এই নিউ মার্কেটের দোকানিরা প্রতিরোধ শুরু করেছে। হেলমেটধারীরা এই প্রতিরোধকে দমন করার জন্য মানুষ হত্যা করেছে। আমি অবিলম্বে হেলমেটধারীদের গ্রেফতার ও তাদের বিচার চাই। অবিলম্বে মকবুল হোসেনের মুক্তি চাই এবং নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাহার চাই।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশের অপশাসন থেকে মুক্ত হতে হলে, জনগণকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সামনে একটি পথই উন্মুক্ত। সেটা হচ্ছে, যারা গায়ের জোরে বিনাভোটে রাতের অন্ধকারে ডাকাতি করে ক্ষমতায় রয়েছে, তাদের হাত থেকে এই দেশকে রক্ষা করা। আমাদের একটিই কথা শেখ হাসিনাকে বিদায় নিতে হবে, শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় নিতে হবে। এই বিদায় নেওয়ার জন্য আজকে আমাদের সকলকে রাস্তায় নামতে হবে, আরো ব্যাপকভাবে রাস্তায় নামতে হবে।