ক্ষমতাসীনেরা সমাজটাকে নষ্ট করে দিয়েছে — মির্জা আলমগীর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আমাদের সমাজটাকে নষ্ট করে দিয়েছে। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎকে নষ্ট করে দিয়েছে। এমন একটা সমাজ তারা তৈরি করেছে, যে সমাজে মানুষ হতে পারবে না। আজ তারা যেটা করছে, সেটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
মঙ্গলবার, জানুয়ারি ১৪, ২০২০, রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘গুম, হত্যার শিকার ও পঙ্গু হওয়া’ নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী হেল্প সেলের অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, হত্যা, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ যেন একটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে। মানুষ এখন আর কথা বলে না। কথা বলার সুযোগ নেই। ভয়ভীতি ছড়িয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হয়েছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা ও ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য প্রথমে সরকার সংবিধান সংশোধন করেছে। মুক্তিযুদ্ধে মূল চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে। রাষ্ট্রের সব যন্ত্রকে ব্যবহার করছে তারা। এর বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছে, তারা অনেকেই নেই। তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। কাউকে হত্যা করা হয়েছে। অথবা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গোটা দেশকে নির্যাতনের কারখানা তৈরি করেছে।
‘গুম-হত্যা’র শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অসহনীয় একটা পরিবেশ, দম বন্ধ করা পরিবেশ। এই সমাজ কীভাবে এই ধরনের একটা পরিস্থিতি সহ্য করছে, এটাও চিন্তার কথা। তারা যেভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে, তাতে তাদের অনুতাপ পর্যন্ত হয় না।
বিএনপির ৩৬ লাখ মানুষ আসামি, ১ লাখ মামলা, পাঁচ শর বেশি গুম হয়েছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালে এই জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল? যেখানে এই রকম সমাজ দেখব—রাষ্ট্রের নির্যাতনে তরুণ-যুবক পঙ্গু হয়ে যাবে? শিশু পিতাকে হারাবে এই রাষ্ট্রের জন্য? কোন রাষ্ট্র তৈরি করেছি আমরা?’
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী হেল্প সেলের সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।