ধর্ষণচেষ্টার শিকার কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
বগুড়ার ধুনটে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা জানাজনি হওয়ায় এক কলেজছাত্রী (১৭) বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার এ ঘটনায় প্রধান আসামিসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃত কলেজছাত্রী ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের কৈগাতী গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে এবং স্থানীয় জালশুকা হাবিবর রহমান ডিগ্রি কলেজ থেকে এ বছর জিপিএ ৫ পেয়ে এইচএসসি পাশ করেছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলেজছাত্রীকে প্রায় দুই বছর ধরে কখনো কু-প্রস্তাব আবার কখনো উত্ত্যক্ত করতেন পাশের রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের মৃত কানু সরকারের ছেলে বাবলু মিয়া (৪০)। বাবুলের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ছাত্রী। এ বিষয়টি গ্রামের মাতব্বরদের কাছে বিচার চান ছাত্রীর বাবা। কিন্তু মাতব্বররা এ ঘটনার কোনো সুরাহা করতে পারেননি। বিচার চাওয়ার পর আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বাবুল মিয়া।
পরে ১২ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বখাটে বাবুল ও তার সহযোগী রফিকুল কলেজছাত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণের চেষ্টা চালান বাবুল। নিজেকে রক্ষা করতে মেয়েটি চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে বাবুল ও রফিকুল পালিয়ে যান। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে লোকলজ্জায় মেয়েটি বিষপান করে।
স্বজনরা উদ্ধার করে তাকে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ১৩ এপ্রিল রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মেয়েটির বাবা ফজলুল হক জানান, মেয়েকে উত্ত্যক্তের বিচার গ্রামের মাতব্বরদের কাছে চেয়েও পাইনি। থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ খোঁজখবর নেয়নি। আমি আসামিদের বিচার চাই।