ছাত্রলীগের নেতার বিরুদ্ধে ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে নিজের অনুসারী কর্মীদের দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মণের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডের স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাষ্কর্যের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান সজীব সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থবর্ষের ছাত্র। তিনি হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন জানান, উদয়ন স্কুলের সামনে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সজীবকে অতনু বর্মণের নেতৃত্বে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে কয়েকজন মিলে ভুক্তভোগীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যায়।
ভুক্তভোগী রাকিবুল ইসলাম সজীব অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার সংগ্রাম ভাস্কর্যের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে আসার সময় আমার এক বন্ধু হাসিব আমাকে ডাক দেয়। আমি বাইকে ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মণ তার বাইক বহর নিয়ে আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়িয়ে আমি বাইক থামিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাই। তখন উনারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলে আমি তাকে দাঁড়াতে বলি।
সজীব বলেন, “দাঁড়াতে বলার পরপরই হঠাৎ করে অতনু বর্মণের নেতৃত্বে আমার ওপর জগন্নাথ হলের তার অনুসারী আনুমানিক ২০ জন আমার ওপর এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে। প্রায় কয়েক মিনিট ধরে গণহারে পিটুনি দেয়। আমার মাথা, কান, গলা, হাত ও পায়ে, পিঠে তীব্রভাবে আঘাত করে। আক্রমণের সময় আমি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পরিচয় দিয়ে বারবার বলার পরও তারা থামেনি। বরং তারা আমাকে আক্রমণ আরও বেশি হারে চালিয়ে যায়।”
পরে তার দুই বন্ধু এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান বলে জানান সজীব। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অতনু বর্মণ বলেন, “ও (সজীব) উল্টোদিক থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছিল। এটা নিয়ে সামন্য কথা-কাটাকাটি হয়েছে। আমার পরিচয় পাওয়ার পর ‘স্যরি’ও বলেছে। কোনও ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আর আমি একা ছিলাম। আমার সঙ্গে কেউ ছিল না। তবে আমি চলে যাওয়ার পরে তার সঙ্গে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে তা আমি জানি না।”
অতনু বর্মণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।