মার্কিন রিপোর্টে প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হয়েছে: মির্জা ফখরুল

0

দেশে বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের ফলে হত্যা, প্রতিবাদকারী ব্যক্তিদের পিতা-মাতা এবং ভাই-বোনদের গ্রেফতার রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় অন্যায়ভাবে টিকে থাকতে চায়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর কতৃক প্রকাশিত “২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস” শীর্ষক রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, প্রমাণিত হয়েছে যে এই অনির্বাচিত, অনৈতিক আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় অন্যায়ভাবে টিকে থাকতে চায়।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে বৈঠকের কথা জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের রিপোর্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইন-শৃংখলা বাহিনীর ভূমিকা, বিচার ব্যবস্থায় সরকারী হস্তক্ষেপ সম্পর্কে যে বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে আলোচনা হয়। বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার, বিশেষ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজ দেয়া ও কারাগারে প্রেরণকে রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত উল্লেখ বলে প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হয়েছে।

তিনি বলেন,ফ্যাসীবাদী এই সরকারের মারাত্মক মানবাধিকার লংঘন, সরকারের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম, খুন, নির্যাতনের যে সকল অভিযোগ উঠেছে তা এই রিপোর্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশেষ করে সম্প্রতি র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা সেই সত্যকে আরও প্রতিষ্ঠিত করেছে।

ফখরুল বলেন, রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০১৮ এর নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, সন্ত্রাস এবং আগের রাতে সীল মারা, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন করে ভোট কেন্দ্রে আসতে না দিয়ে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে জালিয়াতি পূর্ণ বলে অভিহিত করায় প্রমাণিত হয়েছে যে, অনির্বাচিত অবৈধ আওয়ামী সরকারের অধীনে কখনও অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বচন সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, রিপোর্টে উল্লেখিত মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, সংবাদ কর্মীদের নির্যাতন এবং নিবর্তন মূলক আইন প্রণয়ন গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে। সভায় উল্লেখিত বিষয় গুলোকে ব্যাপক ভাবে প্রচারের মাধ্যমে জনমত গঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com