বৈশাখের বহ্নিতাপে বিদায় হোক অসত্য, অন্যায়, অনাচার ও অশান্তি: তারেক রহমান
বৈশাখের বহ্নিতাপে সমাজ থেকে চিরতরে বিদায় হোক অসত্য, অন্যায়, অনাচার ও অশান্তি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, পহেলা বৈশাখ ১৪২৯ বাংলা সনের প্রথম দিন অর্থাৎ বাংলা নববর্ষ। এই উৎসবমূখর দিনে আমি দেশ-বিদেশের সকল বাংলাদেশীদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। দিনটি সকল বাংলাদেশীর ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। সুদীর্ঘকাল ধরে নুতন আঙ্গিক, রূপ, বর্ণ ও বৈচিত্র নিয়ে জাতির জীবনে বার বার ঘুরে আসে পহেলা বৈশাখ। প্রাচীণকাল থেকে গড়ে উঠা আমাদের ভাষা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অহংকার মিশে থাকে নতুন বছরের শুভাগমনে। আমাদের হৃদয় উদ্বেলিত ও উদ্ভাসিত হয় দেশমাতৃকার অতীত গৌরব ও ঐশ্বর্যে। আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিশালত্ত্ব, শাশ্বত প্রাচীনতা পবিত্র এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ, তাই ১লা বৈশাখের এদিনে এক উদ্দীপ্ত প্রেরণায় জেগে উঠে জাতির আত্মপরিচয়। প্রতিবছর নববর্ষ হিরন্ময় অতীতের আলোকে সম্মুখ পানে, অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে তাগিদ দেয়।
তিনি বলেন, ঘটনা ও দূর্ঘটনার সাক্ষী ১৪২৮ সালের চৌকাঠ ডিঙ্গিয়ে ১৪২৯ সালের প্রভাতে অজানা কাল-প্রাঙ্গনের সীমানায় আমরা উপস্থিত হয়েছি। গত বছরের দুঃখ, অবসাদ, ক্লান্তি, হতাশা ও গ্লানিকে অতিক্রম করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা নিয়ে এসেছে বাংলা নববর্ষ। বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় জীবনের সংস্কৃতির দ্যোতক। বাংলা সন-তারিখ আমাদের প্রাত্যহিক জীবন, দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের অপরিহার্য অনুষঙ্গ, তাই এটি জাতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তারেক রহমান অভিযোগ করে বলেন, সূদীর্ঘকাল ধরে গড়ে ওঠা ভাষা ও কৃষ্টির জমাট মোজাইককে ভেঙ্গে ফেলার জন্য বিদেশী আধিপত্যবাদী প্রভুরা সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আমাদের এ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নববর্ষের প্রথম দিনে আমি সকলের কল্যাণ কামনা করছি। নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা, সবার জীবন হয়ে উঠুক সমৃদ্ধময়। বৈশাখের বহ্নিতাপে সমাজ থেকে চিরতরে বিদায় হোক অসত্য, অন্যায়, অনাচার ও অশান্তি। নববর্ষের এই নতুন সকালে মহান আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে সকলের ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং জাতীয় সকল পর্যায়ে সুখ ও শান্তি কামনা করি। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে মানুষরা করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত, শান্তি ও আক্রান্তদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।