‘আমার স্ত্রী বাইরে যেতে পারে না, সবাই চোরের বউ বলে’: সাহেদ
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম বলেছেন, ‘আমার স্ত্রী বাড়ির বাইরে যেতে পারে না, সবাই চোরের বউ বলে। ’
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার জামিন শুনানিকালে আদালতে একথা বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) এই মামলায় চার্জশুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১২ মে দিন ধার্য করন।
তবে মামলাটিতে বৃহস্পতিবার সাহেদের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। জামিন শুনানিকালে আদালতের অনুমতি নিয়ে তিনি কথা বলেন। সাহেদ বলেন, ‘স্যার দয়া করে আমাকে জামিন দেন। আমার কারণে আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার ১৬ বছরের মেয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। সহপাঠীরা তাকে চোরের মেয়ে বলেছে। আমার স্ত্রীও বাড়ির বাইরে যেতে পারে না, সবাই চোরের বউ বলে ডাকে। ’
নিজের গ্রেফতারের বিষয়েও সাহেদ দেন নতুন তথ্য। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করা হয়নি। আমি নিজে র্যা ব সদর দফতরে হাজির হই। তাছাড়া আমি স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদকেও চিনতাম না। ’
শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
সাহেদ ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে সাহেদ ছাড়া বাকি সবাই জামিনে আছেন।
গত বছর সেপ্টেম্বরে আবুল কালাম আজাদসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় সর্বমোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। সেখানে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।