রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট হয়ে এখন প্রজা কষ্ট পাচ্ছে: বিএনপি

0

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘করোনাকালে দেশের জনগণ দেখেছে শুধু সরকারের মদদপুষ্টদের লাভবান করতে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কীভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে। আজকে সেই প্রবাদ বাক্যের মত অবস্থা হয়েছে দেশের। রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট হয়ে এখন প্রজা কষ্ট পাচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল পূর্বানীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ বর্তমান প্রেক্ষাপট: কোনো প্রতিকার নেই, দূষণ বেড়েই চলেছে, দেশের মানুষ বেঁচে আছে অসহায় অবস্থায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীতে র‌্যালি করেছে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে গেছে, ভঙ্গুর হয়ে গেছে। দেশে যখন করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ল সেই সময়ে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার বিষয়টি লক্ষ করেছি। কারণ সরকারের একটি মাত্র লক্ষ্যে ছিল দুর্নীতি, কীভাবে টাকা বানানো যায়। সে জন্য করোনা টেস্টের নাম করে টাকা বানিয়েছে তারা, বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা কীভাবে দুর্নীতি করেছে। আমরা দেখলাম তাদের সমর্থনপুষ্ট একজন ব্যক্তিকে লাভবান করার জন্য ভারত থেকে যে ভ্যাকসিন আনা হলো তার দাম তিন/চার গুন বেশি। শুধুমাত্র সরকারের মদদপুষ্ট লাভবান করতে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে ফেলা হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেছেন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে-নির্বাচন কেমন করতে যাচ্ছেন আপনারা, সেখানে কী বিরোধী দল আসছে এবং স্পষ্ট জিজ্ঞাসা করে বলেছেন যে, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য আপনারা কি ব্যবস্থা করছেন? তখন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য আমেরিকার সাহায্য কামনা করেন। অথচ তাদের দলের নেতারা সারাক্ষণ বলেন, আমরা নাকি বিদেশিদের কাছে ধরনা দিই, আমরা বিদেশিদের সাহায্য নিয়ে কাজ করি।’

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে আমরা নিরাপদ পানি পাচ্ছি না। নিরাপদ পানির অভাবে দেশের জনগণ এখন ডায়রিয়ায় ভুগছে। পানিকে আর্সেনিকমুক্ত করতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। আমরা ক্ষমতায় থাকতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন করেছিলাম। নিয়ম করেছিলাম পাবলিক প্লেসে ধূমপান করা যাবে না। ধূমপান করলে তাৎক্ষণিক জরিমানা চালু করেছিলাম। কিন্তু এখন সরকার সেটা অনুসরণ করছে না।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোজাম্মেল হক।

অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে স্কাইপিতে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com