আ.লীগ ক্ষমতায় এলেই প্রথমে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করে: মির্জা ফখরুল

0

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সবসময় বলার চেষ্টা করে বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে। বড় বড় প্রজেক্ট দিয়ে তারা বোঝানোর চেষ্টা করে অনেক উন্নতি হচ্ছে। আমরা দেখছি, একদিকে যখন এ কথা বলা হচ্ছে, তখন মানুষ না খেয়ে মরছে। আমরা দেখছি দরিদ্র আরও দরিদ্র হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রথম যেই কাজটা করে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করে।’

গতকাল বুধবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আবদুস সালাম হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক-গণতন্ত্র মুক্তিপাক’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে  তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রথম যেই কাজটা করে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করে এবং একইসঙ্গে মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো হরণ করে। আজকে বাংলাদেশ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ক্রান্তিকালটি হচ্ছে— এদেশে মানুষের তো অধিকার নেই, এমনকি বেঁচে থাকার যে অধিকার, সেইটাও নেই। আজকে বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এত অবনতি হয়েছে  যে, এখানে মানুষের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই।’

সড়ক মন্ত্রণালয় সড়কে মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অন্য কথা বাদ দেন। এই যে ঢাকা শহরের রাস্তা এটা নিয়ে অনেক কথা। এখানে সেতু ও সড়কমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের  সাধারণষ সম্পাদক, তার মন্ত্রণালয় সবচেয়ে ব্যর্থ হয়েছে, ঢাকাসহ সারা দেশে সড়কের নিরাপত্তা দিতে।’

বিএনপিকে নির্বাচনে ফেরানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবসময় ওবায়দুল কাদের সাহেব যে বক্তব্যটা রাখেন, বিএনপি নাকি বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয়। আজকে প্রকাশ্যে, আমেরিকায় বসে প্রমাণ করেছে বিদেশিদের কাছে যারা ধর্না দেয়, তারা হচ্ছে আওয়ামী লীগ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকার কাছে তো ধর্না দেওয়ার দরকার নেই। বাংলাদেশে প্রথম কাজটি করুন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। এখানে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’

আওয়ামী লীগ আবারও ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন করতে চায় জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে তারা আমাদের ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। শুধু এটাই নয়, বিরোধী দলসহ গণতন্ত্রের জন্য যারা লড়াই করছে, তাদের মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে, তারা যাতে আন্দোলন করতে না পারে, তার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এটা শুধুমাত্র ঢাকায় হচ্ছে, তা নয়। তাদের উদ্দেশ্য আবারও তারা সেই ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন করবে। যে নির্বাচনে বিরোধী দল তো থাকবেই না। বিরোধী দল যেন সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারে, তার ব্যবস্থা এখন থেকেই তারা শুরু করেছে।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com