ডিজিটাল ভোট ডাকাতির জন্য দুই সিটিতে ইভিএম: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইভিএম এখন ইসির কাছে মধু। অর্থ লুটপাটের বিনিময়ে তারা সরকারকে ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি উপহার দিবেন। একারণে সব মতামতকে থোড়াই কেয়ার করে নুরুল হুদার কমিশন ইভিএমে ভোট করতে চান। ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের পথ থেকে এখনই সরে আসুন। অন্যথায় পদত্যাগ করুন।
রবিবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, এই নির্বাচন কমিশন ইভিএমের মাধ্যমে এবার ডিজিটাল ভোট ডাকাতির আয়োজন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র আড়াই হাজারের মতো। ভোটকক্ষ প্রায় ১৪ হাজার। প্রতিটি কক্ষে তারা একটি করে ইভিএম ব্যবহার করতে চায়। সেই হিসেবে ১৪ হাজার ইভিএমের প্রয়োজন পড়ে।
রিজভী বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে ৩৫ হাজার ইভিএম ব্যবহার করা হবে। অতিরিক্ত ২১ হাজার ইভিএম কোথায় ব্যবহার করা হবে? ইসির বক্তব্য অনুযায়ী ব্যাকআপ হিসেবে ৫০ শতাংশ মেশিন যদি রাখাও হয় তাহলে প্রতি কক্ষের জন্য অতিরিক্তসহ মোট ২১ হাজার ইভিএম লাগার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন আরও ১৪ হাজার ইভিএম অতিরিক্ত প্রস্তুত করে রাখছে। এটি রাখার মূল উদ্দেশ্য হলো ভোটের আগেই ভোটের ফলাফল প্রস্তুত করা। এটি সম্পূর্ণরূপে রহস্যজনক।
তিনি আরও বলেন, যেখানে জনগণের ভোটের সরকার থাকে না, সেখানে দুর্বৃত্তদেরই জয়জয়কার থাকে। সংশ্লিষ্ট সকলের আপত্তি সত্ত্বেও ঢাকা সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের তোড়জোড় বেপরোয়া দুর্বৃত্তপনারই বর্ধিত প্রকাশ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের বশংবদরা বাদে দেশের নিবন্ধিত প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের ঘোরতর আপত্তি সত্ত্বেও জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত এবং অর্থ হরিলুটের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন দিয়ে ভোট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন।