চলতি বছরের (২০২২ সাল) মার্চ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে ‘একজনে’র। অপরদিকে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের পর কারাগারে ‘দুইজনে’র মৃত্যু হয়। এছাড়া এই এক মাসে ৩৯৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
এ তথ্য জানাচ্ছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। মার্চ মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ করে সংগঠনটি।
১২টির বেশি দৈনিক পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে করা হয় এই প্রতিবেদন। প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীর মাধ্যমে তা যাচাই করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে একজনের মৃত্যু হয়। অপরদিকে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের পর কারাগারে মৃত্যু হয় দুইজনের।
আরও বলা হয়, ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত কারাগারে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ছয়জন কয়েদি ও এক বিদেশি নারীসহ চার হাজতি। কারাগারে অপর্যাপ্ত চিকিৎসার কারণে বন্দিরা যথাযথ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সংগঠনটি মনে করছে, বন্দি অসুস্থ হলে তাকে কারাগারের বাইরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, নয়তো হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয় বন্দির।
কারাগারের ভেতরে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি, মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করা উচিত বলে মত দেয় সংগঠনটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা বিগত মাসগুলোর তুলনায় বেড়েছে, যা উদ্বেগজনক।
মার্চ মাসে ৩৯৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় সংগঠনটি। এর মধ্যে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ২৩টি, ধর্ষণ ও হত্যা ৩টি, প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের শিকারের ঘটনা ছয়টি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া মার্চ মাসে চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, ঢাকা, ভোলা, পটুয়াখালী ও রাজশাহীতে সাতটি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন।
এছাড়া গণপিটুনিতে আটজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।