ইবিতে ছাত্রলীগের কব্জায় হলের সিট, অসহায় প্রশাসন

0

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলগুলোতে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে ছাত্রলীগ। হল প্রশাসন মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ দিলেও ছাত্রলীগের বাধার মুখে আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে ব্যর্থ হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে হলের আবাসিক ফি প্রদানের পরেও মেসে থাকতে হচ্ছে আবাসিক শিক্ষার্থীদের।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে শিক্ষার্থীদের হলের সিট বরাদ্দ দেয়া হলেও ছাত্রলীগের বাধার মুখে আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, গত দুই মাস আগে আবাসিক সিট বরাদ্দের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় লালন শাহ হল কর্তৃপক্ষ। পরে শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিট বরাদ্দ দেয় হল কর্তৃপক্ষ। পরে দুই হাজারের অধিক টাকা দিয়ে আবাসিকতা নেয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আবাসিক শিক্ষার্থীরা কয়েক দফায় কক্ষগুলোতে উঠতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। পরে তারা প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

এর প্রেক্ষিতে সোমবার প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে বরাদ্দকৃত সিটগুলোতে শিক্ষার্থীদের উঠাতে যায় হল প্রশাসন। এ সময় আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী ৪০৪ নম্বর কক্ষে উঠতে যান। এতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী ইফতেখার আরিফ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের হাসিব বাধা দেন বলে অভিযোগ করেছেন সদ্য আবাসিকতাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘হল চালায় ছাত্রলীগ, হলে উঠতে গেলে ছাত্রলীগের অনুমতি নিয়ে উঠতে হবে।’ ফলে সিটগুলোতে ওঠা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাধিক আবাসিকতাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে হলে আবাসিক সিটপ্রাপ্ত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে আমরা আবাসিকতার জন্য টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু এক মাস ঘুরেও সিটে উঠতে পারিনি। প্রভোস্ট অনুমতি দিলেও এখন তা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে ছাত্রলীগের ছত্রচ্ছায়ায় আবাসিক ফি না দিয়েও হলে থাকছেন অনেকে।’

ওই হলের দায়িত্বে থাকা ছাত্রলীগ নেতা আলামিন জোয়ার্দার বলেন, ‘আমি হল প্রভোস্টের সাথে কথা বলেছিলাম, যাতে আবাসিকতাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারে। হলটিতে ছাত্রলীগের কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। এগুলো কারা করছে তা আমার জানা নেই।’

এ বিষয়ে হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হল থেকে নেমে যাওয়ার জন্য প্রায় ১০ বার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা হলের সিট ছাড়েনি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি। কোনো আবাসিক শিক্ষার্থী হলে উঠতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com