বাঙালি জাতিকে মেজর জিয়াই একটি লাল সবুজের পতাকা ও স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন!

0

আজ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালে জাতির সবচেয়ে বড় বিপদের দিনে মুক্তিপাগল দিশেহারা জনগণের কাছে একটি অবিস্মরণীয় কণ্ঠস্বর তাদের হৃদয়ে আশার সঞ্চার করেছিল। কারণ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে জাতির সেই ক্রান্তিলগ্নে ভেসে এসেছিল একটি কণ্ঠস্বর আমি মেজর জিয়া বলছি।

সেই কণ্ঠ সেদিন অযুত প্রাণে নতুন সঞ্জীবনী মন্ত্র এনে দিয়েছিল। মেজর জিয়ার কণ্ঠস্বর শুনে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে দিশেহারা গোটা জাতি। আমি মেজর জিয়া বলছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি- তার এই অবিস্মরণীয় অবিনাশী ঘোষণায় পথহারা মুক্তিকামী জনতা ঝাঁপিয়ে পড়ে মরণপণ মুক্তিযুদ্ধে।

আজকের এইদিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার অমর ঘোষক, মহাবীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের এক ও এগারো নাম্বার সেক্টর এবং জেডফোর্সের কমান্ডার, সাতই নভেম্বরের সিপাহীজনতার বিপ্লবের মহানায়ক, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তমসহ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী সাধারণ জনতা যারা দেশে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, বাক-স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের জন্য তদানীন্তন শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। এবং ক্ষুধা-দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও দুঃশাসনমুক্ত একটি দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বস্তরের জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আমি তাদেরকে গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে স্মরণ করছি।

আজকে স্বাধীনতার ৫১ বছর অতিবাহিত হলেও সেইসব সাহসী বাঙালিদের আত্মত্যাগ ও বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে যে দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল, সেদেশের মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি হিসেব করলে দেখা যায় জাতি আজ এমন এক সময় স্বাধীনতা দিবস পালন করতে যাচ্ছে যখন দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও মৌলিক মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই, যা ছিলো স্বাধীনতাযুদ্ধের মূলমন্ত্রে। আছে শুধু ফ্যাসিবাদের মূল চেহারা। আর ফ্যাসিস্টরা খুবই নিষ্ঠুর ও নিমর্মতার সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছেন।

তাইতো আজ বাংলাদেশের জনগণ অঘোষিত এক স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অধীনে থাকায় গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার অসহনীয় যাতনার তলায় পিষ্টকারী ও অধিকার হরণকারীদের বিরুদ্ধে আরও একটি অবিস্মরণীয় অবিনাশী ঘোষণার দিন গুনছে। তাই আসুন জনগণের ব্যক্তি জীবনের স্বার্থ-স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়াসহ একটি অসাম্প্রদায়িক আধুনিক উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মাণ ও মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনা, সমুন্নত রাখার দৃঢ় প্রত্যয়ে, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রুপান্তরের জন্য, দলমত নির্বিশেষে জনগণকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হই। এবং ক্ষুধা-দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও দুঃশাসনমুক্ত দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’ শ্লোগানকারীর নেতৃত্বে জনগণের কাঙ্খিত বিজয় নিশ্চিত করি।

-ডালিয়া লাকুরিয়া

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com