জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট চার হাজার ৬২২ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

0

গত বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট চার হাজার ৬২২ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক হাজার ৭০৩ জন। এর মধ্যে একক ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক হাজার ৩৭০ জন, দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৩৭ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭৭ জনকে। আর ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ১৯ জন। এ ছাড়া গত বছর ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২৪৫ জনের সঙ্গে।

গত এক বছরে সংঘটিত এসব ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ২০১৭ ও ২০১৮ সালের চেয়ে বেশি। ২০১৭ সালে ধর্ষণের শিকার হয় ৯৬৯ জন এবং ২০১৮ সালে ধর্ষণের শিকার হয় ৬৯৭ জন। ওই দুই বছরে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় ৪০৬ জন।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বহুল প্রচারিত কালের কণ্ঠসহ দেশের মোট ১৪টি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত ঘটনার ভিত্তিতে এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানায় সংগঠনটি।

সংগঠনটি জানায়, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরে মোট যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৮৫ জন। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৯১ জন। এসিডদগ্ধের শিকার ২৪ জন ও অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে  ৫১ জন। এর মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এই সময়ে অপহরণের শিকার হয়েছে মোট ১৪৭ জন। অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে ১১ জনের সঙ্গে।  গত ১২ মাসে নারী ও শিশু পাচার করা হয়েছে ১৭ জন। এর মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় সাতজনকে।

একই সময়ে বিভিন্ন কারণে ৬৩২ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে ৭০ জনকে হত্যা এবং ৮৪ জনের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। এ ছাড়া গত এক বছরে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৩৪ জন। উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ১০৪ জনকে, যার মধ্যে উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছে ১৭ জন।

মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছর বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ২৬৪ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। এর মধ্যে আত্মহত্যায় প্ররোচনার শিকার ৫৬ জন ও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ১২ জন এবং ২৮৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আর ফতোয়ার শিকার হয়েছে ২৪ জন। বাল্যবিবাহ বন্ধে সরকার সরব ভূমিকা পালন করলেও গত এক বছরে বাল্যবিবাহ হয়েছে মোট ৯৭ জনের এবং বাল্যবিবাহের চেষ্টা করা হয়েছে ১৬৯ জনের সঙ্গে। এ ছাড়া নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫১ জন নারী ও শিশু।

সংগঠনটির সভাপতি আয়েশা খানম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা উন্নয়নে নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলছি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, প্রান্তিক পর্যায়ে এখানো নারীর ক্ষমতায়ন হয়নি। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হলেন সে ঘটনা নারীর ক্ষমতায়নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই বিষয়গুলো নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com