চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের আরো অবনতি
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিশেষজ্ঞরা জানান, অস্ট্রেলিয়া ও চীনের মধ্যেকার সম্পর্কের শীতলতা আরো বৃদ্ধি পায় গত সপ্তাহের কতকগুলো ঘটনাকে কেন্দ্র করে। বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়া সরকার ঘোষণা করে, ২০২১ সালের শেষে চীন আপত্তি প্রকাশ সত্ত্বেও তারা মিত্রদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আরো সামরিক নিয়োগ দিচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিম ঘেঁষা দেশটি একটি লেজারের নিন্দা করেছিল যেটি একটি চীনা জাহাজ একটি অস্ট্রেলিয়ান সামরিক বিমানের দিকে তাক করেছিল এবং সেই মাসে সরকার অ্যান্টার্কটিক অনুসন্ধানের জন্য তার বাজেট বাড়িয়েছিল; আরেকটি জায়গা যেখানে চীনকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রান্ড গবেষণা সংস্থার ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ডেরেক গ্রসম্যান বলেন, চীন-অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক হয়তোবা ইউএস-চীন সম্পর্কের চাইতে আরো খারাপ হতে পারে। তিনি বলেন, দেখে মনে হচ্ছে যে অস্ট্রেলিয়া-চীনের সম্পর্ক তীব্র বিদ্বেষের মাত্রায় চলে গেছে। গত বছর সামরিক প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন ক্রয়সংক্রান্ত ‘অকাস’ নামের চুক্তি সই করা হয়। চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষা দফতরের একজন মুখপাত্র জানান, চীন জানায় অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে চীন আগামী শতাব্দীতে বিপুল অর্থ ব্যয় করবে।
অস্ট্রেলিয়া সরকার জানায় যে তারা আগামী কয়েক দশকে ৫৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে। সেই বাজেটের আওতায় তারা ড্রোন ও পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার দুর্গম অংশের মানচিত্র নির্ণয় এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রাংশ কেনার সুযোগ পাবে বলে প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইট থেকে জানানো হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও চীনের মধ্যে ক্রমাগতভাবে ২০১৩ থেকে বিভাজন বাড়ছে। জোটের বিশ্লেষকেরা জানান, চীন অস্ট্রেলিয়া-ইউএসের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে চিন্তিত। অস্ট্রেলিয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূত শিয়াও বলেন, আশা করা যায় যে উভয় পক্ষ অতীত পর্যালোচনা করতে এবং ভবিষ্যতের দিকে নজর দেয়ার জন্য এক সাথে কাজ করবে।