যুদ্ধে বিপুল সম্পদ খুইয়েছেন রাশিয়ার ধনীরা
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পরই বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন রাশিয়ান ধনকুবেররা। রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের কঠোর নিষেধাজ্ঞার ফলেই বিপুল পরিমাণ অর্থ হারাচ্ছেন তারা। সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়ার শীর্ষ ধনীরা ৮০ বিলিয়ন ডলার বা আট হাজার কোটি ডলারের সম্পদ হারিয়েছেন। চলমান নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ জব্দের কারণে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে অনুযায়ী, ইউক্রেন রাশিয়ার হামলার পরই অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার ২০ ধনকুবেরের সম্পদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে। অলিগার্কদের ওপর নিষেধাজ্ঞা, রাশিয়ার অর্থনীতি ও মুদ্রার পতনের ফলে বিশ্বজুড়ে রাশিয়ান ধনকুবেরদের ওপর প্রভাব পড়েছে।
এদিকে রুশ ধনকুবেরদের বিলাসবহুল কয়েকটি প্রমোদতরি জব্দ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। এর মধ্যে উজবেক বংশোদ্ভূত রুশ ধনকুবের আলিশার উসমানভের ৫০০ ফুট দৈর্ঘ্যের ‘দিলবার’, যুক্তরাজ্যের চেলসি ফুটবল ক্লাবের মালিক রোমান আব্রামোভিচের ৪৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের ‘সোলারিচ’ ও রোজনেফট তেল কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইগর সেচিনের ২৮০ ফুটের ‘আমোর ভেলো’ নামের তিনটি প্রমোদতরি রয়েছে।
রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব শুরু হয়েছে। তাছাড়া উসমানভের ওপর এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায়ও তার নাম আসতে যাচ্ছে। তার সম্পদ এক দশমিক সাত বিলিয়ন কমে ১৯ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন হয়েছে। অপর রাশিয়ান ধনকুবের ভ্লাদিমির পোটানিন তার সম্পদের এক চতুর্থাংশ হারিয়েছেন।
ডলারভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ভোলগা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণকারী গেনাডি টিমচেঙ্কো। তার সম্পদ ২২ বিলিয়ন ডলার থেকে ১১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া রাশিয়ান গ্যাস কোম্পানি নোভেটেকের প্রধান নির্বাহী লিওনিড মিখেলসন ১০ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন।
এদিকে অন্যান্য বড় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছে রাশিয়ান খনি ব্যবসায়ী আলেক্সি মোর্দাশভ। এসময় তার সম্পদ পাঁচ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার কমে ২২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।