এল সালভাদরের সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ানিকে গ্রেফতারের নির্দেশ
এল সালভাদরের একটি আদালত শুক্রবার সাবেক প্রেসিডেন্ট আলফ্রেডো ক্রিস্টিয়ানিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সালে ছয়জন ধর্মযাজকের নৃশংসভাবে হত্যায় যোগসাজশ ও সেনাবাহিনী কর্তৃক অন্য দুজনকে হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিশংসকেরা অভিযোগ করেন যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ানি ধর্মযাজকদের অপসারণে সামরিক পরিকল্পনার কথা জানতেন, তবে তা বাধা দিতে কোনো প্রয়াস নেননি। এক বিবৃতিতে ক্রিস্টিয়ানি’র কন্যা জানান ওই সাবেক নেতা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ক্রিস্টিয়ানি বলেন, যা সত্য তা হলো তারা যে হত্যার এসব পরিকল্পনা নিয়েছিল ওই ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না। তারা আমাকে জানায়নি বা কোনো অনুমোদন নেয়নি, কারণ তারা জানতো আমি কখনোই ফাদার ইগনাসিও এলাকুরিয়া বা তার ভাইদের কোনো ক্ষতি করার অনুমোদন দিতাম না।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ানি ও সাবেক আইনপ্রণেতা রডলফো পার্কারকে মঙ্গলবার আদালতে তলব করা হয়, তবে তারা আসেননি।
২০২১ সালের জুন মাসে সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত অর্থপ্রদান সম্পর্কিত তদন্তের ব্যাপারে কংগ্রেসের প্যানেলের মুখোমুখি হওয়ার পর ক্রিস্টিয়ানি এল সালভাদোর ত্যাগ করেন।
অভিশংসকেরা ধর্মযাজকদের মামলাটি পুনরায় শুরু করলে, তার কন্যা তার বাবার কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে বলেন যে তার বাবা দাদার দেশ, অর্থাৎ ইতালিতে অবস্থান করছেন। তবে এখনো তিনি সেখানে রয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
১৯৮৯ সালের ১৬ নভেম্বর দুর্ধর্ষ একটি কমান্ডো ইউনিট ছয়জন ধর্মযাজক, পাঁচজন স্পেনের নাগরিক ও একজন সালভাদরের নাগরিককে হত্যা করে; এছাড়াও হত্যার শিকার হয়েছিলেন, তাদের গৃহকর্মী ও যাজকদের বাড়িতে থাকা গৃহকর্মীর কন্যা। হত্যাকারীরা এই গণহত্যাকে এমনভাবে সাজায় যে হত্যাকারীরা ছিল বামপন্থী গেরিলাবাহিনী।
মামলাটি স্বদেশে স্থগিত থাকলেও স্পেনের একটি আদালত যাজকদের হত্যার জন্য সাবেক সালভাদরের কর্নেল ইনোসেন্টে অর্লান্ডো মোন্টানোকে ১৩৩ বছরে কারাদণ্ড দেন।
আদালত জানান, এই হত্যাকাণ্ড ছিল এক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস এবং ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও অবস্থানের সুযোগ নিতে ক্রিস্টিয়ানিসহ শক্তিশালী স্বার্থান্নেষী গ্ৰুপ এই হামলা পরিচালনা করে’।