ইউক্রেনের জীবাণু অস্ত্রের প্রমাণ পায়নি জাতিসংঘ
ইউক্রেন জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচি চালাচ্ছে বলে রাশিয়া যে অভিযোগ করেছে, তার পক্ষে কোনো প্রমাণ পায়নি জাতিসংঘ। গতকাল শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণবিষয়ক প্রতিনিধি ইজুমি নাকামিৎসু এসব কথা বলেছেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোও রাশিয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। খবর আলজাজিরা।
গত বৃহস্পতিবার রাশিয়া অভিযোগ করে, ইউক্রেনে জীবাণু অস্ত্র তৈরির কর্মসূচিতে অর্থায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে আলোচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে জরুরি বৈঠক ডাকার অনুরোধ জানায় রাশিয়া। অনুরোধে সাড়া দিয়ে গতকাল বৈঠকের সময় নির্ধারণ করে জাতিসংঘ।
এদিন ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণবিষয়ক প্রতিনিধি ইজুমি নাকামিৎসু বলেন, ইউক্রেনে কোনো ধরনের জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচি চলছে বলে জাতিসংঘের জানা নেই। ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশই বায়োলজিক্যাল উয়িপনস কনভেনশন (বিডব্লিউসি) নামক আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নাকামিৎসু বলেন, ১৯৭৫ সালে বিডব্লিউসি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে জীবাণু অস্ত্রকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জাতিসংঘের রুশ দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া দাবি করেন, ইউক্রেনে ৩০টি জীবাণু অস্ত্র পরীক্ষাগারের একটি নেটওয়ার্ক শনাক্ত করেছে মস্কো।
তবে জাতিসংঘের মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেনের জনগণের বিরুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের যুদ্ধকে ন্যায্য প্রমাণের জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে ব্যবহারের চেষ্টা করছে রাশিয়া। তারা ভুয়া তথ্যের বৈধতা আদায় করতে চাইছে এবং জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
গ্রিনফিল্ড নিরাপত্তা পরিষদকে আরও বলেন, ‘আমি আবারও বলতে চাই, ইউক্রেন জীবাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে না। রাশিয়ার সীমান্তে কিংবা অন্য কোথাও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে ইউক্রেনের জীবাণু অস্ত্রের পরীক্ষাগার স্থাপিত হয়নি।’
ইতিমধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও জীবাণু অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহারের জন্য রাশিয়া প্রস্তুতি নিচ্ছে।