রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা বাইডেনের
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার ফোনে কথা হয় দুই নেতার। এ সময় বিশেষ করে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় তাদের। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন দুই নেতা।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানিয়েছেন, প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে কথা হয়েছে দুই নেতার।
ফোনালাপে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার বিদ্যমান সংঘাতের একটি রাজনৈতিক সমাধানের জন্য তুরস্ক তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে জানান এরদোয়ান। তুরস্কে ইউক্রেন, রাশিয়া ও তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনকে কূটনৈতিক বিজয় হিসেবেও আখ্যায়িত করেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ফোনালাপে দুই নেতা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় নেতা ইউক্রেনের সরকার ও জনগণের প্রতি ফের তাদের দৃঢ় সমর্থনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অবিলম্বে রুশ আগ্রাসন বন্ধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে সংকট উত্তরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত প্রতিক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।
বিদ্যমান সংঘাতের একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ায় তুরস্কের প্রতি ‘কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেন বাইডেন।
ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যত শিগগির সম্ভব ৪০টি নতুন বিমান ক্রয় এং তুরস্কের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের আধুনিকীকরণের বিষয়টি চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেন এরদোয়ান। বলেন, তার প্রত্যাশা খুব শিগগিরই এ বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
প্রতিরক্ষা শিল্পে তুরস্কের ওপর যাবতীয় অন্যায্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সময় এসেছে বলেও মন্তব্য করেন এরদোয়ান।