ভোক্তার ভোগান্তি চরমে: আরেক দফা বাড়ল পেঁয়াজ ডাল তেল ছোলার দাম
সরবরাহ সংকট না থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে আরেক দফা বেড়েছে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, মসুর ডাল ও ছোলার দাম। পাশাপাশি আটা-ময়দা, আদা-রসুন ও সব ধরনের মাংসসহ ১৬ পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
পণ্যের দাম বৃদ্ধির চিত্র সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক দ্রব্যমূল্য তালিকায় দেখা গেছে। সংস্থাটি বলছে, গত সাত দিনে পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেড়েছে। খোলা পাম অয়েল প্রতি লিটারে ৩ দশমিক ২৯ শতাংশ দাম বেড়েছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি খোলা আটা ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ, খোলা ময়দা ১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, মাঝারি আকারের মসুর ডাল ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ছোলা ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ, আলু ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, দেশি পেঁয়াজ ২০ শতাংশ, আমদানি করা পেঁয়াজ ১০ শতাংশ, দেশি রসুন ২২ শতাংশ, দেশি শুকনা মরিচ ৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, আমদানি করা হলুদ ৩ শতাংশ, দেশি আদা ১৫ শতাংশ, আমদানি করা আদা ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ, গরুর মাংস ৪ দশমিক ১০ শতাংশ, খাসির মাংস ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ ও দেশি মুরগির দাম ৯ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে।
রাজধানীর খুচরা বাজারের বিক্রেতারা জানান, প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা। যা সাত দিন আগে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি সাত দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি খোলা আটায় ৪ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খোলা ময়দায় কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি মাঝারি আকারের মসুর ডাল ৫ টাকা বেড়ে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ছোলা ২ টাকা বেড়ে ৮০-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাত দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি আলু ২ টাকা বেড়ে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি শুকনা মরিচ কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা হলুদ ১০ টাকা বেড়ে ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি আমদানি করা আদা ১০ টাকা বেড়ে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ১০ টাকা বেড়ে ৬৪০-৬৬০ টাকা, খাসীর মাংস কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৯৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দেশি মুরগি সাত দিনে ৫০ টাকা বেড়ে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর নয়াবাজারে পণ্য কিনতে আসা মো. নাফিস বলেন, বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। কিনতে গেলে হাতে কোন টাকা থাকছে না। আর পণ্যও চাহিদামতো কিনতে পারছি না। ফলে কম কিনতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে এক সময় না খেয়ে থাকতে হবে।