ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ট্যাঙ্ক-বিমান পাবে না ভারত!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে মস্কোর সঙ্গে কেএ-২২৬টি হেলিকপ্টার কেনার বিষয়েও কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে নয়াদিল্লির। তবে গত বছর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে গতি আনার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিদেশ থেকে সামরিক কপ্টার কেনার প্রক্রিয়া শ্লথ করা হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে রাশিয়া থেকে ভারতে যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া গাড়ি সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হতে পরে। থমকে যেতে পারে অতি স্বল্পপাল্লার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার এবং নানা সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের প্রক্রিয়া। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে এই আশঙ্কার কথা জানা গিয়েছে।
বিগত কয়েক বছর ধরেই রাশিয়া থেকে টি-৯০ ট্যাঙ্ক, বিএমপি-২ সাঁজোয়া গাড়ি এবং মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান আমদানি করে ভারত। সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের একাংশও আসে রাশিয়া থেকে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে সেই প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্র জানাচ্ছে। থমকে যেতে পারে রাশিয়া থেকে ‘৯কে ৩৮ ইগলা’ অতি স্বল্পপাল্লার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র আমদানির প্রক্রিয়াও।
নরেন্দ্র মোদির আমলে মস্কোর সঙ্গে কেএ-২২৬টি হেলিকপ্টার কেনার বিষয়েও কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে নয়াদিল্লির। তবে গত বছর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে গতি আনার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিদেশ থেকে মাঝারি বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য সামরিক কপ্টার কেনার প্রক্রিয়া শ্লথ করা হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস অলিপোভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ভারতকে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে বিলম্ব করবে না রাশিয়া। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে দু’টি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা ভারতে এসে পৌঁছেছে। আগামী এপ্রিলে আরো তিনটি এসে পৌঁছনোর কথা।
কামানের গোলার আঘাতে ইউক্রেনের দ্বিতীয় পরমাণু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত : আইএইএ
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএই) সোমবার জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের অবরুদ্ধ দ্বিতীয় নগরী খারকিভে কামানের গোলার আঘাতে একটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পেয়েছে। তবে সেখানে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। খবর এএফপি’র।
ভিয়েনা ভিত্তিক জাতিসঙ্ঘের এ সংস্থা জানায়, ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ রোববার সেখানে হামলা হয়েছে বলে জানায়। তারা আরো জানায়, হামলার পর এ কেন্দ্রে তেজস্ক্রিয়তার লেভেল বৃদ্ধি পায়নি।
কারণ এ কেন্দ্রের ‘তেজস্কিয় উপাদানের মাত্রা অত্যন্ত কম এবং এটি ‘সঙ্কটপূর্ণ’ অবস্থায় রয়েছে।
এ স্থাপনা গবেষণা প্রতিষ্ঠান খারকিভ ইনস্টিটিউট অব ফিজিকস অ্যান্ড টেকনোলজির একটি অংশ যা হাসপাতাল ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় তেজক্রিয় উপকরণ উৎপাদন করে থাকে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে খারকিভে রাশিয়া কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা জোরদার করেছে। আত্মসমর্পনে ইউক্রেনের ওপর চাপ বৃদ্ধির মস্কোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তারা সেখানে হামলা জোরদার করে।