একটি চক্রকে লোকানোর জন্য মাদকাসক্তদের বলির পাঠা বানানো হয়।

0

সেই মেয়েটি এবং তনুর কথা। একটি চক্রকে লোকানোর জন্য মাদকাসক্তদের বলির পাঠা বানানো হয়।

বার বার নাম জিজ্ঞেস করা দাম্ভিক লোক কোথায় ?

বিষয়টি নিয়ে লিখতাম না। কিন্তু অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। তাই লিখলাম।

র‌্যাবের ছায়া তদন্তে যেভাবে আটক সিরিয়াল রেপিস্ট মজনু। খবরটি পড়লাম। কিন্তু খটকা তো খবরের প্রতিটি অক্ষরে।

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণকারী একজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। তার নাম মজনু, বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। বুধবার শেওড়া রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং দুপুর দেড়টার দিকে তাকে কাওরানবাজারের র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আনা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আজ ভোরে শেওড়া রেল ক্রসিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম মজনু (৩০)। পেশায় ছিনতাইকারী মজনুর বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়ায়। র‌্যাব জানিয়েছে, মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। এর আগেও সে একাধিক নারীকে ধর্ষণ করেছে। এছাড়া মাদক সেবন, ছিনতাই ও চুরি তার নিত্যদিনের কাজ।

র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করে মজনু। সে জানায়, তার বাড়ি নোয়াখালির হাতিয়ার জাহাজমারা গ্রামে। বাবা ও স্ত্রী মারা গেছেন। বাড়িতে মা থাকলেও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ নেই তার। সে পেশায় ভবঘুরে হকার হলেও বিভিন্ন সময় চুরি ও ছিনতাই করতো।

একই সঙ্গে বিভিন্ন সময় সে মানসিক প্রতিবন্ধীসহ একাধিক গরীব ও ভিক্ষুক নারীকে ধর্ষণ করেছে বলেও স্বীকার করে।

প্রাথমিকভাবে র‍্যাবকে সে জানায়, রবিবার রাতে কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যায় মজনু। সেখানে ওই শিক্ষার্থীর ব্যাগ দেখে সে ছিনতাইয়ের জন্য তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় সে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে ও একই সঙ্গে হত্যারও চেষ্টা করে।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) জানায়, গ্রেফতারকৃত যুবককে ওই শিক্ষার্থীর সামনে হাজির করা হলে এক দেখাতেই তাকে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করেন মেয়েটি।

র‌্যাব আরো জানায়, ধর্ষককে গ্রেফতারের পাশাপাশি তার কাছ থেকে ভুক্তভোগীর ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও চার্জার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও একটি টর্চ লাইট জব্দ করা হয়েছে। ধর্ষক মজনুর বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। সে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় বসবাস করতো। মাঝে মাঝে কুর্মিটোলা এলাকার পরিত্যক্ত ট্রেনের কামরায়ও থাকতো।

এর আগে র‌্যাব সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনের মধ্যে একজন স্বীকার করে। পরে সে বিস্তারিত ঘটনার বর্ণনা র‌্যাবকে জানায়। পরে র‌্যাবের পক্ষ থেকে ধর্ষককে মেয়েটির সামনে হাজির করা হয়।

গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বন্ধুর বাসায় যাওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওয়ানা দেন ওই শিক্ষার্থী। রাস্তা ভুল করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এরপর ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময় অজ্ঞাত কেউ তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন ঝোপে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণের পাশপাশি শারীরিক নির্যাতন করে ধর্ষক। রাত ১০টার দিকে যখন তার জ্ঞান ফিরে আসে তখন একটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বন্ধুর বাসায় গিয়ে তাকে সবকিছু খুলে বলেন। রাত ১২টার দিকে তাকে এনে ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ধর্ষণের শিকার হন এক শিক্ষার্থী। পরে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে ঢাবি ক্যাম্পসসহ সারাদেশের শিক্ষাঙ্গন।

আসুন একটু বিশ্লেষণ করি –

সাগর রুনি হত্যার পর একজন বললেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুনিদের ধরা হবে। পেরিয়ে যায় কয়েক বছর। এর পর মখা আলমগীর ও তৎকালীন ডিএমপি সাজানো নাটকে আটক দেখানো হয় কয়েকজন মাদকাসক্তদের। কিন্তু সেই মাদকাসক্তদের কয়েকজন আগেই আটক ছিল এবং তারা এসব কিছুই জানে না প্রমানের পর সেই কাহিনীর নাটক ফ্লোফ করে। খুঁটি নাড়াচাড়া দেয়া তথ্যের মখা আলমগীর এর পর এই নাটক নিয়ে আর কথা বলেন নাই।

তনু হত্যা –

তনু হত্যার আসামি তিন বছরেও শনাক্ত হয়নি। এবং আর কোনদিন হবেও না।
সেনানিবাস এলাকার ভেতরে এই হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা সফল হলো যেভাবে।

২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়৷ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলায় প্রধান দুই সন্দেহভাজন কুমিল্লা ক্যান্টমেন্টের সার্জেন্ট জাহিদ ও সিপাহি জাহিদ এরইমধ্যে বদলি হয়ে গেছেন৷

২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়৷ রাত ১১টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকেই তার লাশ উদ্ধার করা হয়৷ তনুর বাবা ইয়ার হোসেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের অফিস সহায়ক৷ তিনি সপরিবারে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসায়ই থাকেন৷

২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত তদন্ত করেন সিআইডির কুমিল্লার পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম। পরে তদন্তভার পান সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন। ২০১৬ সালের ১৬ মে তনুর পোশাকে পাওয়া বীর্য পরীক্ষা করে তিনজনের ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া গেছে বলে সিআইডি জানিয়েছিল। এরপর তনুর পোশাকে পাওয়া তিনটি ডিএনএ প্রোফাইলের সঙ্গে সন্দেহভাজন কয়েকজন ব্যক্তির ডিএনএ মেলানো হয়। তবে কোনো ফল আসেনি। জালাল উদ্দিন তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর কয়েকজনের সঙ্গে ডিএনএ মেলানোর উদ্যোগ নেন। এর মধ্যে তনুর নাট্যসংগঠন ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের পাঁচজন কর্মীর সঙ্গে ডিএনএ মেলানো হয়। ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর সকালে সিআইডির সদর দপ্তরের নতুন ভবনে তনুর বাবা, মা, ভাই আনোয়ার হোসেন রুবেল, চাচাতো বোন লাইজু জাহান ও চাচাতো ভাই মিনহাজ হোসেন গিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে সার্জেন্ট জাহিদের নাম বলেন।

মামলার এজহারে তখন কাউকে আসামি করা না হলেও তনুর বাবা সেই সময় মিডিয়াকে জানান, ‘‘আমরা দু’জনকে সন্দেহ করি বলে সিআইডিকে বারবার জানিয়েছি৷ আমি মনে করি তারা এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জানেন৷ তারা হলেন সার্জেন্ট জাহিদ ও সিপাহি জাহিদ৷ ‘‘নিহত হওয়ার আগে এই দুইজনের বাসায়ই তনু সর্বশেষ গিয়েছেন৷ সার্জেন্ট জাহিদের বাসায় সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা বা সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত ছিলো৷ এখান থেকেই সে নিখোঁজ হয়৷ আর সার্জেন্ট জাহিদের বাসায় যাওয়ার আগে সে সিপাহি জাহিদের বাসায় যায়৷ দু’টি বাসা মুখোমুখি৷ সিপাহি জাহিদের বাসায় পড়িয়ে সার্জেন্ট জাহিদের বাসায় যায়৷ সেখান থেকে সন্ধ্যায় বের হওয়ার পর তনুর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ এরপর রাত ১১টার দিকে তার লাশ পাওয়া যায়৷’’

আমার পরিচয় জানলে আমি বাঁচব না। ওই লোক খুব দাম্ভিক ছিল মেয়েটির সেই কথার সাথে মাদকাসক্ত মজনুর কিছু মিলছে না কেন ?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রীর কোন বক্তব্য এখনো সরাসরি জানানো হয় নাই। মামলার বাদীর কোন বক্তব্য দেয়ার সময় এখনো সে কে জানা যায় নাই।

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তির আগে ও পরে কয়েকজন শিক্ষক ও বন্ধুকে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

ভিকটিম জানিয়েছেন, ধর্ষক তার পরিচয় জানতে চেয়েছে বারবার। তিনি আন্দাজ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় পেলে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে। তাই তিনি মুখ খোলেনি।

যেসব প্রশ্নের জবাব মিলছে না—-

ডিএমপির গুলশান জোনের উপ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী কি তাহলে নিজেই অপরাধের সাথে জড়িত ?

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার: এদিকে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ঢাবির ওই শিক্ষার্থী যে স্থানে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই স্থানের আশেপাশের দুটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। এখন ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ডিএমপির গুলশান জোনের উপ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের কিছু ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ধর্ষককে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করাই সবার লক্ষ্য। আশা করছি সেটা সম্ভভ হবে। প্রথম থেকেই মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সোমবার রাতে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।(৮ জানুয়ারি ২০২০ দৈনিক মানব জমিন)

ক্লাস শেষে ক্যাম্পাস থেকে বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে রোববার রাতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন।(যুগান্তর রিপোর্ট
০৭ জানুয়ারি ২০২০)

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ উদ্ধার
যুগান্তর রিপোর্ট
০৭ জানুয়ারি ২০২০

প্রশ্ন জাগে
(২) তাহলে ধর্ষন কারীরা কোন বাহিনীর সদস্য ?
(২) কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে যাওয়ার পথে একটি ঝোপের মধ্য কি করে একজন মাদকাসক্ত সাহস করলো ? সেখানে তো শোন্ সময় বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন থাকে।
(৩) আশে পাশের ভিডিও ফুটেজ কেন এখনো প্রকাশিত হয়নি ? কোন রাজনৈতিক নেতার মুখোশ অথবা বাহিনীর মুখোশ খুলে যাবে এই ভয় ?
(৪) পাশে থাকা ডিবির টিমের মধ্যে যারা দায়িত্বে ছিল , তাদের ছবি এবং ভিডিও কি মিল আছে ?
(৫) মেয়েটি বলেছিলো সুঠাম দেহি , দাম্ভিক লোক ছিল ধর্ষকেরা /ধর্ষক। তাহলে কি কংকালসার করে মজনু এলো ?

কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে ৫ জন এক সঙ্গে নামার পর তিনজন একদিকে অন্য দুজন আরেক দিকে যান। ওই সময় সম্ভবত ধর্ষিতার মোবাইলে কল আসার কারণে বাকিদের সঙ্গে ভুক্তভোগীর দূরত্ব সৃষ্টি হয়। যদি সত্যিই তার মোবাইলে কোনো কল আসে তবে সেই ব্যক্তিটি কে?

এছাড়া ভুক্তভোগী যখন ফুটপাত দিয়ে হাঁটছিলো তখন তার সহপাঠিরা বা ওই ফুটপাত দিয়ে কি একেবারেই মানুষের চলাচল ছিল না?

কারণ ভুক্তভোগীর বর্ণনা অনুযায়ী সময় তখন আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার মত। এমনকি তার বর্ণনা অনুযায়ী ধর্ষক তাকে গলায় টিপ দিয়ে একাই নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। তখন কি ধর্ষককে আর কেউ সহযোগিতা করেনি। তার একার পক্ষেই কি মেয়েটিকে নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব?

এমনকি ধর্ষণের সময় মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সে কি ন্যাচারেলি জ্ঞান হারিয়েছে নাকি তাকে সেন্সলেস করা হয়েছে। আর সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কেনইবা ধর্ষক ঘটনাস্থলে অবস্থান করবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com