অনেক হয়েছে, এবার থামুন: রাশিয়াকে গুতেরেস
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাস বলেছেন, অনেক হয়েছে, এবার থামুন। রাশিয়ার সৈন্যদেরকে ব্যারাকে ফিরে যেতে হবে। নেতৃবৃন্দকে শান্তির দিকে যেতে হবে। নাগরিকদেকে রক্ষা করতে হবে। আন্তর্জাতিক মানবিকিকরণ ও মানবাধিকার আইনকে উচ্চকিত করতে হবে।
বেলারুসে অনুষ্ঠিতব্য দু’পক্ষের শান্তি আলোচনা ভবিষ্যত নিয়ে তিনি আশাবাদী বলেও জানান। রাশিয়ার পরমাণু বোমার হুমকিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন গুতেরাস। তিনি বলেন, কোনো অযুহাতই পারমাণবিক বোমার ব্যবহার সমর্থন করতে পারে না। তিনি ইউক্রেনে ২০ মিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তার ঘোষণা দেন।
জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত কিসলিয়স বলেন, যদি ইউক্রেন টিকে না থাকে, তাহলে আন্তর্জাতিক শান্তি টিকে থাকবে না। ইউক্রেন না টিকলে জাতিসঙ্ঘ টিকবে না- এতে কোনো সন্দেহ নেই। ইউক্রেন টিকে না থাকলে, গণতন্ত্র ব্যর্থ হলে আমরা অবাক হতে পারি না।
এদিকে রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, তার দেশ যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে তা মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যম বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। এসব কিছু মিথ্যা।
তিনি আরো জানান, বিশেষ অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে ইউক্রেনের দুটি অংশ দোনেৎস্ক ও লুহানস্কর লোকদের রক্ষা করা। যারা আট বছর যাবত কিয়েভ শাসনের দ্বারা নির্যাতন ও গণহত্যার স্বীকার হয়ে আসছিল।
তিনি আরো বলেন, সেই লক্ষ্যে ইউক্রেনকে নিরস্ত্রকরণ ও ‘ডি-নাজিফাই’ করার প্রয়োজন রয়েছে।
আশা করা হচ্ছে বুধবারের মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া প্রশ্নে সাধারণ পরিষদ একটি শক্তিশালী প্রস্তাব পাশ করতে যাচ্ছে। এ প্রস্তাবের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও এর রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম।
এদিকে, চরম উত্তেজনার মধ্যে জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত রাশিয়ার ১২ কূটনৈতিককে নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ মিশন থেকে বহিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে রাশিয়ার এ ধরনের গোয়েন্দাগিরি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
আগামী ৭ মার্চের মধ্যে ওই ১২ কূটনৈতিককে দেশে ফিরে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত নেবেনজিয়া।