ইউক্রেন সীমান্তে রুশ পরমাণু অস্ত্র বসাতে সম্মতি বেলারুশের

0

যুদ্ধের পঞ্চম দিনে খুলতে চলেছে আলোচনার রাস্তা। সোমবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের শান্তি সম্মেলন শুরু হয়েছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে তৈরি হওয়া আর এক প্রজাতন্ত্র বেলারুশের প্রধান প্রশাসনিক অঞ্চল হোমেলে।

এরই পাশাপাশি, তাৎপর্যপূর্ণভাবে সোমবার রাশিয়াকে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনেরও অনুমতি দিয়েছে বেলারুশ। বেলারুশ সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের ওপর চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

রোববার রাশিয়ার তরফে মিনস্কে শান্তি বৈঠকের প্রস্তাব দেয়া হলেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি প্রাথমিকভাবে বেলারুশে আলোচনায় বসতে রাজি হননি। পরিবর্তে, পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ, হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট, স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিস্লোভা, তুরস্কের ইস্তাম্বুল এবং আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর নাম প্রস্তাব করেন তিনি।

নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েতের পতনের পরে সমস্ত পরমাণু অস্ত্রই রাশিয়ার হেফাজতে গিয়েছিল। এ বার ফের সেই অস্ত্র ‘ফেরত আসতে’ চলেছে বেলারুশে। মাস কয়েক আগে মস্কো-কিয়েভ বিবাদের সময়ই বেলারুশে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ ফৌজ। ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে শুরু হয় যৌথ যুদ্ধ-মহড়া। বৃহস্পতিবার যুদ্ধের গোড়াতেই বেলারুশ সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনের মাটিতে ঢুকে চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রের দখল নিয়েছিল রুশ ফৌজ।

২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে শান্তি আলোচনার বসেছিল রাশিয়া এবং ইউক্রেন। শান্তি চুক্তিও সই হয়েছিল। কিন্তু ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার তা মানেনি বলে অভিযোগ ইউক্রেন এবং আন্তর্জাতিক মহলের। এ বার ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সময় বেলারুশের বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক ভাবে মস্কো-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যদিও বেলারুশের সরকার এখনও মস্কোর সঙ্গে সামরিক সখ্য বজায় রেখে চলছে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com