দেশ রক্ষায় হাতে অস্ত্র তুলে নিলেন সাবেক মিস ইউক্রেন

0

আরেকটি ‘নৃশংস’ রাত পার করল ইউক্রেন। রুশ হামলার চতুর্থ দিনে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রাশিয়ার সেনারা ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। শহরটির বিভিন্ন সড়কে এখন তুমুল লড়াই চলছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনের সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। ইউক্রেন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়, ‘আপনাদের কাছে অস্ত্র বা গোলাবারুদ থাকুক বা না থাকুক, সাধ্যমতো সব উপায় ব্যবহার করে লড়াই চালিয়ে যান।’

এরই ধারাবাহিকতায় এবার ভ্লাদিমির পুতিনের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন সাবেক মিস ইউক্রেন আনাস্তাসিয়া লিনা।

ইনস্টাগ্রামে অস্ত্র হাতে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে লিনা ঘোষণা দিয়েছেন, দেশ রক্ষায় তিনি রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন।

উল্লেখ, ২০১৫ সালে মিস ইউক্রেন নির্বাচিত হয়েছিলেন আনাস্তাসিয়া লিনা।

আনাস্তাসিয়া লিনা ছাড়াও ইউক্রেনের সর্বকনিষ্ঠ পার্লামেন্ট মেম্বার সোভিয়াতোস্লাভ ইউরাশ (২৬) রাজধানী কিয়েভকে রক্ষা করতে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন। কিয়েভের রাস্তায় তাঁকেও অস্ত্র হাতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইল।

এদিকে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ‘গণহত্যার’ শামিল বলে উল্লেখ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একই সঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রাশিয়ার ভোটদানের ক্ষমতা বাতিল করতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি সন্ত্রাসবাদ। তারা ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে আরও বেশি বোমা বর্ষণ করতে যাচ্ছে। তারা আরও বেশি চতুরতার সঙ্গে আমাদের শিশুদের হত্যা করতে যাচ্ছে। আমাদের ভূমিতে একটি অশুভ শক্তি এসেছে, যাকে অবশ্যই ধ্বংস করা হবে।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড গণহত্যার শামিল।’

জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের আবাসিক এলাকায় বোমাবর্ষণ করছে মস্কো। আগ্রাসী শক্তি পশ্চিমাপন্থী দেশটির আরও গভীরে আঘাত করতে চায়। ইউক্রেনে গত রাতটি ছিল অত্যন্ত নৃশংস। তারা আবাসিক এলাকায় বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি, বোমাবর্ষণ করেছে।

তিনি বলেন, ‘আজ দেশে এমন কোনো জিনিস নেই; যা দখলদাররা লক্ষ্যবস্তু হিসেবে আক্রমণ করছে না। তারা সবার বিরুদ্ধে লড়ছে। তারা জীবন্ত সবকিছুর বিরুদ্ধ লড়ছে। আগ্রাসী শক্তিরা কিন্ডারগার্টেন, আবাসিক ভবন এমনকি অ্যাম্বুলেন্সের বিরুদ্ধেও লড়াই করছে।

জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ সৈন্যরা পুরো শহরের সব জেলায় রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে। যেখানে কোনো সামরিক স্থাপনা নেই এবং কখনই ছিল না।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com