ইউক্রেনের মতো একই বিপদ তাইওয়ানকেও গ্রাস করতে পারে: বরিস জনসন
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিরাজ করছে যুদ্ধাবস্থা। এর মধ্যে তাইওয়ানের বিষয় নিয়েও বিশ্ব নেতারা চিন্তিত। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কথাও বলেছেন ইতোমধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে বেইজিং সাফ জানিয়ে দিলো, তাইওয়ান প্রকৃতপক্ষে ইউক্রেন নয়, এটি চীনেরই অংশ। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুন ইং বলেছেন, বিশ্বে একটিমাত্র চীন রয়েছে এবং তাইওয়ান হচ্ছে সেই চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তাইওয়ানের প্রশাসনিক প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন নিয়ে চীনা সামরিক তৎপরতার ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানোর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গত সপ্তাহে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করলে একই বিপদ তাইওয়ানকেও গ্রাস করতে পারে।
আন্তর্জাতিক সমাজ বেইজিংয়ের ‘এক চীন’ নীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে এই নীতির ভিত্তিতে চীনের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বহু বছর আগে ‘এক চীন’ নীতি সংক্রান্ত দলিলে সই করেছে; কিন্তু এখনো বেইজিংয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তাইওয়ানের সাথে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করছে ওয়াশিংটন।
তবে ইউক্রেনের সাথে তাইওয়ান পরিস্থিতিকে গুলিয়ে ফেলার বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে হুয়া চুন ইং বলেন, তাইওয়ান চীনের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং কোনো অবস্থাতেই চীনের ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে বিপদাপন্ন করা যাবে না।
এ দিকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই তাইপে চীনের দাবির তীব্র বিরোধী। তিনি তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেই মনে করেন। ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক গঠিত ওয়ার্কিং গ্রুপের এক বৈঠকে তিনি বলেন, সব নিরাপত্তা ও সামরিক ইউনিটকে তাইওয়ান প্রণালিতে যেকোনো ধরনের সামরিক কার্যক্রম শনাক্তের জন্য অবশ্যই নজরদারি বাড়াতে হবে।
এদিকে সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে চীন। গত মঙ্গলবার দৃশ্যত তারা নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকলেও বুধবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা দেয়ার এই ধারা অনুসরণ করবে না চীন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তির এই পদক্ষেপ কখনোই মৌলিক এবং কার্যকর সমাধানের উপায় হতে পারে না। চীন পরিষ্কার করে বলেছে, সব সময়ই একতরফা অবৈধ নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে যাবে তারা।