ইউক্রেনে আক্রমণ: রাশিয়ার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো
পশ্চিমাদের আশঙ্কাকে বাস্তব রূপ দিয়ে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া। রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার এ হামলা শুরু হয়।
তবে এ যুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে সরাসরি অংশ না নিলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে আমেরিকাসহ ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু মিত্র দেশ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন।
কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে রাশিয়ার ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শীর্ষ পর্যায়ের রুশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
যুক্তরাজ্য পাঁচটি রাশিয়ান ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করেছে এবং সেসব ব্যাংককে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে বাদ দিয়েছে।
একই ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা আর জাপানও।
যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ায় হাই-টেক যন্ত্রপাতি রফতানি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।
তবে কোনো দেশই এই মুহূর্তে ইউক্রেনের সরাসরি সমর্থনে সেখানে সেনা পাঠাবে না বলে জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে সাত হাজার অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। তারা জানিয়েছে জার্মানিতে ‘ন্যাটো জোটের মিত্রদের আশ্বস্ত’ করার লক্ষ্যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো মিশনে ৪৬০ জন সেনা সদস্য পাঠাবেন তারা।
তবে কানাডা ইউক্রেনে সেনা সহায়তা পাঠানোর চিন্তা করছে কিনা, সে বিষয়ে কিছু তারা জানায়নি।
ওদিকে ইউরোপের বিভিন্ন শহরের পাশাপাশি রাশিয়ার অনেক শহরেও ইউক্রেনের সমর্থনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ ও মিছিল হয়েছে।
রাশিয়ায় যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করায় অন্তত ৭০০ জন গ্রেফতার হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
জাতিসঙ্ঘের ধারণা, এরই মধ্যে অন্তত এক লাখ মানুষ যুদ্ধের সহিংসতা থেকে বাঁচতে ঘর ছেড়েছে। ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশ পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও মলদোভায় শরণার্থী পরিবারের সদস্যদের আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।
সূত্র : বিবিসি