‘পুতিনের পরিণতি ভোগ করতে হবে’

0

রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার উপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যার ফলে “রাশিয়ার অর্থনীতিকে গুরুতর মূল্য দিতে হবে”।

বৃহস্পতিবার বাইডেন হোয়াইট হাউজ থেকে জানান, “পুতিন আগ্রাসী। পুতিন এই যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছেন এবং এখন তাকে ও তার দেশকে সেটার পরিণতি ভোগ করতে হবে।”

নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার ব্যাংক, শাসকগোষ্ঠী ও উচ্চপ্রযুক্তি শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন যে, বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের তার প্রতিবেশী দেশকে আক্রমণের মাধ্যমে, দেশটির সরকারকে উৎখাত করার “সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য” রাশিয়ার রয়েছে।

পেন্টাগনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদকর্মীদের বলেন, “আমরা এখন যা প্রত্যক্ষ করছি সেটা একটি পূর্ণমাত্রার আক্রমণের প্রাথমিক স্তর মাত্র।” তিনি আরও বলেন, “তারা কিয়েভ দখলের পথে অগ্রসর হচ্ছে।”

ঐ কর্মকর্তাটি আরও বলেন, “ইউক্রেনের সরকারকে সম্পূর্ণ ভাবে ছিন্ন করার উদ্দেশ্য তাদের রয়েছে।”

ঐ কর্মকর্তা বলেন যে, রাশিয়ার প্রাথমিক আক্রমণে ১০০টিরও বেশি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়, কিন্তু একই সাথে মাঝারী-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সামরিক স্থাপনা যেমন, বিমানঘাঁটি, ব্যারাক ও গুদাম লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়।

কর্মকর্তাটি জানান যে, ইউক্রেনের সৈন্যরা “প্রতিরোধ করছে ও পাল্টা লড়াই করছে, এমন লক্ষণ দেখেছে” যুক্তরাষ্ট্র।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই আক্রমণটি, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে আরম্ভ করেন পুতিন। তিনি বিতর্কিত পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনের বাহিনীর উপর আক্রমণ করেন এবং ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালান।

পুতিন আক্রমণটিকে একটি “বিশেষ সামরিক অভিযান” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, যার উদ্দেশ্য হল তাদের দক্ষিণের এই প্রতিবেশী দেশটির “বেসামরিকীকরণ ও নাৎসীবাদ মুক্তকরণ।” ইউক্রেন এক সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি অঙ্গ রিপাবলিক হলেও, ১৯৯১ সাল থেকে সেটি একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন দেশ হিসেবে বিদ্যমান।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com