সবাই ভয় পায়, বন্ধু দেশগুলো সহায়তা করেনি: প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে প্রথম দিন সেনা সদস্য ও বেসামরিক মানুষ মিলে মোট ১৩৭ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এছাড়া আহত হয়েছে ৩১৬ জন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিন দেশে এই তথ্য জানান জেলেনস্কি। নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ আখ্যা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, নিজের ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ সেনারা আমাকেই এক নম্বর টার্গেট বানিয়েছে। এরপর দ্বিতীয় টার্গেট আমার পরিবার।
ভিডিও বার্তাটি ইউক্রেনের গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। সেখানে তিনি ন্যাটো নিয়েও কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে বলেছেন, সত্যি বলতে, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করতে সবাই ভয় পায়। এমনকি ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানে বিষয়ে বন্ধু দেশগুলোও সহায়তা করেনি।
ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করতে সবাই ভয় পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমি ইউরোপের ২৭ জন নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কাছে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করা হবে কিনা- জানতে চেয়েছি। এ ব্যাপারে তারা সবাই ভীত, উত্তর দেয়নি কেউ। কিন্তু আমরা ভয় পাই না। আমরা কিছুতেই ভয় পাই না।
এর আগে, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) মহাসচিব জেন্স স্টোলেনবার্গ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনে কোনো সৈন্য পাঠানো হবে না। সেখানে কোনো ন্যাটো ক্যামবেট ট্রুপ নেই, ইউক্রেনে ন্যাটোর কোনো সৈন্য নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এটা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে ইউক্রেনে ন্যাটো সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য আমাদের নেই।
ব্রাসেলসে জোটের সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান বলে রয়টার্স গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। স্টোলেনবার্গ আরও বলেন, আমরা যা স্পষ্ট করেছি তা হলো আমরা ইতোমধ্যেই সৈন্য বৃদ্ধি করেছি এবং ন্যাটো অঞ্চলে জোটের পূর্বাঞ্চলে ন্যাটো সৈন্যদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করছি। ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিরক্ষা জোটের একটি অংশীদার। তবে তারা ন্যাটোর পূর্ণ সদস্য নয়।