স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করছে: সাকি

0

লবিস্ট নিয়োগ করে বৈতরণী পার হওয়া যাবে না মন্তব্য করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এই স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করছে, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। ইতোমধ্যে র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।

কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুর এক বছর পূর্তিতে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের নামে অনেক সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। গত বছর ২৫ ফেব্রুয়ারিও আরেক ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জন্য কারা হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদকে হত্যা করা হয়েছিল। মানুষের জীবনের শেষ আশ্রয় আদালতের কাছেও বিচার পাওয়া যায়নি। ৬ বার জামিনের আবেদন করেও জামিন পাননি লেখক মুশতাক।

তিনি বলেন, এই স্বৈরাচারী ক্ষমতা বাংলাদেশের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করছে, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। ইতোমধ্যে র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। তাদের এই সমস্ত কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে বিপদের মধ্যে ফেলবে। বাংলাদেশের রপ্তানি, বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকরা বিপদে পড়বেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার এমন একটি আইন বানিয়েছে, যার মাধ্যমে মানুষের অধিকার হরণের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। তাদের গদি রক্ষা করার জন্যই এই আয়োজন। এই ক্ষমতার বলেই বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকা যায়, দিনের ভোট রাতে করা যায়!

তিনি বলেন, এই সরকারের পতনের জন্য, ভোটাধিকার রক্ষার জন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মুশতাক আমাদের প্রেরণা। মুশতাকের শাহাদত সারাদেশের মানুষের মধ্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের শক্তি হয়ে উঠছে। যার যার অবস্থান থেকে রাজপথে নামতে হবে। সমস্ত সংগ্রামকে যুগপৎভাবে একটি সাধারণ লক্ষ্য—এই সরকারের পতন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে নিয়ে যেতে হবে।

সমাবেশ শেষে জাতীয় জাদুঘর থেকে হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com