যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় স্বামী পরিত্যক্ত এক সন্তানের জননীকে (২৩) চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফুয়াদ আল মতিনের বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয় এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পাল্লা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ফুয়াদ আল মতিন হলেন চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবু তারাব গ্রামের মতিন মিয়ার ছেলে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পাল্লা বাজারে অভিযুক্ত ওই যুবলীগ নেতার ইন্সুরেন্স অফিসে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, তিনি আগে ঢাকায় থাকতেন। কিছু দিন আগে তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। এরপর তিনি একটি চাকরির খোঁজ করেন। যুবলীগ নেতা ফুয়াদ তাকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায়। এরপর রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি আমাকে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে ডাকেন। ওই সময় নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে আমাকে অচেতন করে ধর্ষণ করেন। এ সময় ফুয়াদের আরেক সহযোগী ধর্ষণের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করেন। শেষে তিনিও ধর্ষণের চেষ্টা চালান। একই সাথে তারা আমাকে বলেন, এ ঘটনা কাউকে জানালে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়া হবে। তারপর ঘটনাস্থল থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে দিয়ে আমাকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করেন তারা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চাটখিল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চাটখিল পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ উল্যাহ পাটোয়ারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আমি গত এক সপ্তাহ যাবত ঢাকায় অবস্থান করছি। তবে গত দেড় বছর আগে ওই কমিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আবুল খায়ের জানান, ভুক্তভোগী নারী নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশ মাঠে রয়েছে।