তসলিমাকে ‘ঘৃণার প্রতীক’ বললেন ওয়েইসি
হিজাব নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তসলিমা নাসরিনকে ‘ঘৃণার প্রতীক’ বলেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হায়দরাবাদের এ রাজনীতিবিদ বলেন, আমি এমন কারও কাছে জবাব দেবো না যিনি ঘৃণার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। আমি এখানে বসে তাকে নিয়ে কথা বলবো না।
সম্প্রতি একই টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিজাব, নিকাব, বোরকাকে ‘নিপীড়নের প্রতীক’ বলে দাবি করেছিলেন ভারতে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
তার ওই মন্তব্য প্রসঙ্গে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, উদারপন্থিরা শুধু তাদের পছন্দের স্বাধীনতায় খুশি… উদারপন্থিরা চায় প্রত্যেক মুসলমান তাদের মতো আচরণ করুক। ডানপন্থি মৌলবাদীরা চায়, আমরা ধর্মীয় পরিচয় ত্যাগ করি, যার গ্যারান্টি সংবিধান আমাকে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতের সংবিধান আমাকে পছন্দের স্বাধীনতা, বিবেকের স্বাধীনতা দিয়েছে। এটি আমাকে ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে চলার স্বাধীনতা দিয়েছে।
এর আগে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে এ রাজনীতিবিদ বলেছিলেন, মুসলিম মেয়েরা হিজাব পরে কলেজে যাবে, জেলাপ্রশাসক হবে, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী হবে। তাদের মধ্য থেকেই কেউ একদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীও হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ওয়েইসিকে বলতে শোনা যায়, যদি কোনো মেয়ে হিজাব পরার সিদ্ধান্ত নেয় ও বাবা-মায়ের কাছে অনুমতি চায়, তখন বাবা-মা তাকে এটি পরতে দিলে আর কে বাধা দিতে পারে? আমরা এমনটি দেখবো, ইনশাআল্লাহ। হিজাব পরা, নিকাব পরা মেয়েরা কলেজে যাবে, চিকিৎসক হবে, কালেক্টর, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ব্যবসায়ী হবে। মনে রাখবেন, আমি হয়তো তখন বেঁচে থাকবো না, কিন্তু হিজাব পরা কোনো মেয়েই একদিন এই দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে।