ট্রুডোকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা ইলন মাস্কের
ট্রুডো নেতৃত্বাধীন কানাডার সরকার যখন জরুরি আইন প্রয়োগের মাধ্যমে ট্রাকচালকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখনই ইলন মাস্ক এই টুইটটি করেছেন। যেখানে হিটলারের একটি মিম পোস্ট শেয়ার করা হয়। মিম পোস্টটিতে হিটলার বলছে, জাস্টিন ট্রুডোর সাথে আমার তুলনা বন্ধ করো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। তাকে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রায়ই টুইট করতে দেখা যায়। তবে এবারের টুইটে তিনি এক ভিন্ন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় কানাডায় চলমান ট্রাক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মধ্যরাতের ঠিক আগে তিনি টুইটটি দিয়েছিলেন এবং কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের মধ্যেই তিনি এটি মুছে ফেলেছেন। এই বিষয়ে তাকে মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করা হলেও তিনি তার জবাব দেননি।
গত জানুয়ারিতেও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক কানাডার ট্রাকচালকদের সমর্থনে টুইট করেছিলেন।
ট্রুডো নেতৃত্বাধীন কানাডার সরকার যখন জরুরি আইন প্রয়োগের মাধ্যমে ট্রাকচালকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখনই ইলন মাস্ক এই টুইটটি করেছেন। যেখানে হিটলারের একটি মিম পোস্ট শেয়ার করা হয়। মিম পোস্টটিতে হিটলার বলছে, জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে আমার তুলনা বন্ধ করো।
টুইটারে মাস্কের অনেক অনুসারীও বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে নেননি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদি কমিউনিটিও মাস্ককে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
কানাডার শিল্পমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যাম্পেন টুইটের জবাবে বলেন, ‘তিনি বেশ ভালোভাবেই হতবাক।’
তবে অনেকেই ট্রুডোর সঙ্গে হিটলারের তুলনাকে ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছেন। কারণ তার পোস্টটিতে লাইকের সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার ও রিটুইট হয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
টুইটারে মাস্কের অনুসারীর সংখ্যা ৭ কোটি ৪০ লাখ। তিনি শুধু প্রযুক্তি বা উদ্ভাবন নিয়েই টুইট করেন না, বিভিন্ন হাস্য-রসাত্মক মিমও শেয়ার করেন।
এদিকে ভ্যাকসিনবিরোধী ট্রাকচালকদের আন্দোলন দমন করতে এবার জরুরি আইন ব্যবহারে পদক্ষেপ নিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো।
জরুরি আইন প্রয়োগের ফলে আদালতের আদেশ ছাড়াই ব্যাংকগুলো যে কারও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট সাময়িক অচল করে দিতে পারবে।
সমালোচকরা বলছেন, ভারতের কৃষকরা যখন দেশটির রাজধানী দিল্লির মহাসড়ক এক বছরের জন্য অবরুদ্ধ করেছিলেন, তার সমর্থনে সে সময় ট্রুডো বলেছিলেন, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষার বিষয়ে কানাডা সর্বদা সেখানে থাকবে।’ অথচ নিজের দেশের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমন করতে তিনি জরুরি আইনের প্রয়োগ ঘটাচ্ছেন।
এর আগে করোনাভাইরাসের নতুন বিধিনিষেধে কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী ট্রাকচালকদের টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। টিকা না নিলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত এলেই থাকতে হবে কোয়ারেন্টিনে। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন দেশটির ট্রাকচালকরা। সারা দেশ থেকে তারা জড়ো হতে থাকেন রাজধানী অটোয়ায়। সৃষ্টি হয় অচলাবস্থা। শুরু হয় ‘ফ্রিডম কনভয়’ আন্দোলন।