রাশিয়া যা-ই করবে তার জবাব পাবে, চরম হুঁশিয়ারি ন্যাটো-যুক্তরাষ্ট্রের
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, ইউক্রেন ইস্যুতে মিথ্যা বলছে রাশিয়া। তারা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করার কথা বললেও সবটাই আসলে মিথ্যা। উল্টো ইউক্রেন সীমান্তে আরও সাত হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়ার সদর দফতর ক্রেমলিন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোট কূটনৈতিকস্তরে ইউক্রেন সমস্যা মেটানোর জন্য রাশিয়াকে চাপ দিচ্ছে। তারা রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে আশার আলো দেখেছিলেন। তবে, বর্তমান সময়টা প্রযুক্তির যুগ। কে ঠিক কী করছে, প্রযুক্তির সাহায্যে তা পানির মতোই পরিষ্কার হয়ে যায় বাকিদের কাছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোকে বলতে শোনা যাচ্ছে, রাশিয়ার দাবি মতো সেনা প্রত্যাহারের কোনও চিহ্ন তারা দেখতে পাচ্ছেন না।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোট বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউক্রেন আক্রান্ত হলে, তা রুখবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোও। যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের চেহারা নেবে বলেই স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দিতে রাজি হননি রাশিয়ার প্রতিনিধি। কিন্তু, তাতে অবশ্য বৈঠক পিছোয়নি। ব্রাসেলসের এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিও। এই বৈঠকে স্বভাবতই উঠবে রাশিয়ার প্রসঙ্গ।
তার আগে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব ওয়ালেস রাশিয়ার মনোভাব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া যা বলছে, আমরা তার উলটো ছবিই দেখছি। গত ৪৮ ঘণ্টায় ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া অতিরিক্ত সাত হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। আমরা ভীষণ সিরিয়াস। আঘাত যেমনই আসুক, আমরা তার মোকাবিলা করব।’