চরম উত্তেজনায় পৌঁছেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন পরিস্থিতি
চরম উত্তেজনায় পৌঁছেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন পরিস্থিতি। যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করতে পারে রাশিয়া-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বারবার এমন সতর্কতা উচ্চারণ করে আসছে।
এর মধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় ইউক্রেন। এমনকি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এই বৈঠকে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রী কুলেবা জানিয়েছেন, সীমান্তে সৈন্য সমাবেশের ব্যাখ্যা চেয়ে রাশিয়াকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু দেশটি এই প্রশ্ন উপেক্ষা করেছে।
তিনি বলেন, “পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাই। এই বৈঠকে সীমান্তে কী পরিকল্পনায় সৈন্য সমাবেশ করা হয়েছে সে বিষয়টি রাশিয়াকে স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যাখ্যা করতে হবে। ”
তবে ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করলেও দেশটিতে আগ্রাসন চালানোর পরিকল্পনার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।
এদিকে, উত্তেজনার মধ্যেই শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক ঘণ্টা ফোনালাপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
পরদিন রোববার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন বাইডেন। এসময় তিনি জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনের ওপর হামলা চালায় তাহলে দ্রুতগতিতে তার চূড়ান্ত জবাব দেবে আমেরিকা।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনের ওপর যদি রাশিয়া কোনো রকমের সামরিক আগ্রাসন চালায় তাহলে মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে ওয়াশিংটন দ্রুত তার জবাব দেবে। তবে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা সমাবেশের বিষয়টি সুরাহা করার জন্য কূটনৈতিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন দুই নেতা।
ইউক্রেনের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএনকে জানিয়েছেন, ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তার দেশকে আরও ব্যাপকভাবে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানান।
পাশাপাশি তিনি কিয়েভ সফরের জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ইউক্রেনের কর্মকর্তা দাবি করেন, বাইডেনের সফরের কারণে ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন জেলেনস্কি।
সূত্র: বিবিসি, সিএনএন