ইউক্রেন সংকট: বাইডেন-পুতিনের বৈঠক

0

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন ও পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনকে (ন্যাটো) ঘিরে উত্তেজনা ক্রমশ গুরুতর রূপ নিচ্ছে। এই অবস্থায় সংকট নিরসনে বৈঠকে বসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘(স্থানীয় সময়) শনিবার সকালে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠক হবে। রাশিয়া সোমবার বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিল, জবাবে আমরা বলেছি শনিবারই এই বৈঠক হতে পারে এবং রাশিয়া আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।’

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বেড়েছে এই উত্তেজনা।

১৯৪৯ সালে গঠিত ন্যাটোকে রাশিয়া বরাবরই পাশ্চাত্য শক্তিসমূহের আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে মনে করে; এবং ঐতিহাসিকভাবেই বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়া পাশ্চাত্য আধিপিত্যবাদের বিরোধী।

একসময়ের সোভিয়েত অঙ্গরাষ্ট্র ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ রুশ বংশোদ্ভুত। দেশটিতে রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীও বেশ সক্রিয়।

গত ডিসেম্বর থেকে ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে প্রায় ১ লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। সম্প্রতি জানা গেছে, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করা ক্রিমিয়া দ্বীপের বিভিন্ন এলকায়ও সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছে দেশটি।

এদিকে, সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনের পর থেকেই এ বিষয়ে ব্যাপকভাবে সরব হয়ে উঠেছে ন্যাটোর নেতৃত্বদানকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রায় প্রতিদিনই বলছেন— রাশিয়া যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা করতে পারে।

যদি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করে, সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও রুশ সরকারকে কঠিন মূল্য দিতে হবে বলে বার বার হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন বাইডেন।

মস্কো যদিও বলেছে, ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই— কিন্তু তাতে একেবারেই আস্থা রাখতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। তবে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ— সব পক্ষই একমত যে এই সংকটের সুরাহা এখনও কূটনৈতিকভাবে হওয়া সম্ভব।

এর মধ্যে অবশ্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ায় গিয়ে এ বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ন্যাটোর অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ; কিন্তু সেই বৈঠকে মূল সংকট যে কাটেনি— তা স্বীকার করেছেন মাখোঁ নিজেই।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com