‘জনগণের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা ছাড়া ভারতীয়দের এই অনার্য ব্যাপার বন্ধ করা যাবে না।
ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রোড ফেলানীর নামে নামকরণ করার দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘ফেলানী হত্যার নয় বছরে এর কোনো প্রতিকার না হওয়ায় এটা আমাদের গালে চড় দেয়ার মত। ভারতীয়দের এই ব্যবহার কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তাই ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রোড ফেলানীর নামে নামকরণ করা হোক। ভারতীয়দের মনে করিয়ে দিতে হবে এই অন্যায় আমরা ভুলে যাইনি।’
Ad by Valueimpression
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের আয়োজনে সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও ন্যায় বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘জনগণের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা ছাড়া ভারতীয়দের এই অনার্য ব্যাপার বন্ধ করা যাবে না। ভারত জ্বলছে, ভারতের বিভক্তি আসন্ন। ভারতের ধ্বংস অনিবার্য। ভারতের ধ্বংসলীলা দেখতে থাকুন।’
তিনি বলেন, ‘আজকে ভারতে যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশে তার কোনো প্রতিবাদ নাই। সরকারের এই নতজানু ব্যবস্থাপনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। যা দেশবাসীর জন্য ভয়ঙ্কর অমঙ্গল ডেকে আনবে। ভারতীয় বাহিনী ১৫ বছর বয়সী ফেলানীকে নির্মমভাবে হত্যা করে পাঁচ দিন সীমান্তে ঝুলিয়ে রেখেছিল তার কোন প্রতিবাদ নেই। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ করে ভারতীয় সরকারকে কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্টের একশত গজের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিগৃহিত হয়েছে সারাদেশে এই সমস্ত ঘটনা ঘটে চলছে। এ সমস্ত ঘটনা অবসান করার জন্য দেশে প্রয়োজন গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের লক্ষ্যে দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোঃ আনোয়ার, আলহাজ্ব খলিলুর রহমান ইব্রাহিম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, সাইফুল ইসলাম শেকল, জসিম উদ্দিন কবির, রায়হানুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান প্রমুখ।