ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ শিবিরের
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতারের ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো.সিরাজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল সালাহউদ্দিন আইউবি বলেন, একের পর এক নৃশংস ও লোমহর্ষক ঘটনায় দেশবাসী আজ আতঙ্কিত। বিচারহীনতার কারণে ধর্ষণ এখন মহামারিতে পরিণত হয়েছে। ৬ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় প্রধান সড়কের পাশ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। যা আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার করুন অবস্থার আরেকটি লজ্জাজনক নজির। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনা স্থলে আলামত পেয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ওই এলাকাটিতে সব সময় নানা রকম অপরাধ সংঘটিত হতো এবং তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জানাছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ক্ষেত্রে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করেনি। সুতরাং এ ঘটনা থেকে প্রশাসন কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের বিচারহীনতা ও সরাসরি প্রশ্রয়ে ধর্ষণের মত ঘৃন্য কাজ নির্বিঘ্নে করে যাচ্ছে নরপিশাচরা। আর এসব অপকর্মে বেশির ভাগ সরকার-দলীয় সন্ত্রাসীরা জড়িত থাকার কারণে সরকার এমন জঘন্য বিষয়গুলো এড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তার কোনোটিরই সুষ্ঠু বিচার হয়নি। ফলে উৎসাহ পেয়ে নরপিশাচদের লোমহর্ষক অপকর্ম বেড়েই চলেছে। সারাদেশেই ধর্ষণকে মহামারিতে রুপ নিয়েছে। যা গোটা জাতিকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। শিশু, তরুণী, শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা গভীর শঙ্কায় দিন যাপন করছে। চরম বিচারহীনতা আজকের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রাস্তাঘাটসহ কোনো জনপদেই যেন আজ নারীরা নিরাপদ নয়। ধর্ষণের ধরণ এবং মাত্রা আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানাচ্ছে। এটা কোনো সভ্য সমাজ বা দেশের চিত্র হতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকারের বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও পাশ কাটানো ভূমিকায় মনে হয় তারা সন্ত্রাসীদের কাছে মা-বোনদের সম্ভ্রমহানির লাইসেন্স দিয়েছে। কিন্তু এদেশের ছাত্রজনতা তা মেনে নিতে পারে না। সরকার যদি বিচারহীনতার ধারা অব্যাহত রাখে তাহলে ছাত্রসমাজ কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। এসব কুলাঙ্গার, কাপুরুষ, অমানুষদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার সময়ের অপরিহার্য দাবি। ছাত্রসমাজের দাবি, আর একটা নারীও যেন ধর্ষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার না হন। শুধু চলমান অপরাধীরা নয় বরং সারাদেশে ইতিপূর্বে গ্রেফতারকৃত ও চিহ্নিতদেরও খুঁজে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।