দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় আস্থার সংকট তৈরি করে বিদায় নিচ্ছে ইসি

0

দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থার চরম সংকট তৈরি করে বিদায় নিতে যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন। আগামী সোমবার নির্বাচন ভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কমিশন সচিবালয় ত্যাগ করবেন তারা।

বর্তমান কমিশন বিদায় নিলেও যে আস্থার সংকট তৈরি করেছেন তা পূরণ হওয়া দুষ্কর-এমন মন্তব্য নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের।

তারা বলেন, কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময়ে (২০১২-২০১৭) নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থার সংকট তৈরি হয়। কেএম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন মেয়াদের প্রথম দুই বছরে ইসির ওপর কিছুটা আস্থার জায়গা তৈরি হয়। ইসির সংলাপ, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় অনেক নির্বাচনেও অংশ নেয় অন্যান্য রাজনৈতিক দল। ওইসব নির্বাচনে ইসির নমনীয় ও বিতর্কিত অবস্থানই আস্থার এ সংকট তৈরি করেছে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই কিছু পদক্ষেপে নির্বাচন কমিশন নিয়ে মানুষের মনে আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু কিছুদিনের কার্যক্রমে তারাই প্রমাণ করেছেন তারা পক্ষপাতদুষ্ট, তাদের সততা নিয়ে প্রশ্ন আছে। নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের তথ্য তুলে ধরা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উলটো অনিয়মকে অস্বীকার করেছেন। নিুমানের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দুবার ফল প্রকাশ করে প্রমাণ করেছে এই মেশিনে জালিয়াতি করা যায়। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এই কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে যে আস্থার সংকট তৈরি করল তা সহজেই পূরণ হওয়ার নয়। এজন্য সঠিক ও যোগ্য ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া উচিত।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com