ইউক্রেন সংকট বাড়াবে না রাশিয়া, ফরাসি প্রেসিডেন্টকে পুতিনের আশ্বাস
ইউক্রেন ইস্যুতে মুখোমুখি অবস্থানে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। উত্তেজনা প্রশমনে সম্প্রতি মস্কো সফর করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রো। রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেন, ইউক্রেনের কাছে আপাতত নতুন কোনো সামরিক কর্মকাণ্ড শুরু না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ম্যাক্রোঁর মন্তব্যের পর ইউক্রেন সংকট এড়াতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও পুতিনের চুক্তির বিষয়টি ক্রেমলিন অস্বীকার করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন যে বর্তমান পরিস্থিতিতে মস্কো এবং প্যারিস কোনও চুক্তিতে পৌঁছতে পারে না।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও বৈঠক করেন। ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো পূর্ব ইউরোপে সেনা মোতায়েন করেছে। এ ছাড়া ন্যাটোর সামরিক শক্তি বাড়াতে পূর্ব ইউরোপে বাড়তি সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পরিস্থিতি ম্যাঁক্রো রাশিয়া সফরে গেলেন। ইউক্রেন সংকট তৈরির পর এই প্রথম পশ্চিমা দেশের কোনো নেতা রাশিয়া সফর করলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, পুতিন যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারেন ইউক্রেনে। যদিও সে বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়ার পুতিন সরকার। রাশিয়া থেকে সরাসরি জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের জন্য ‘নর্ড স্ট্রিম-টু’ পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ চলছে। এদিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে এবার সেই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে রাশিয়াকে সেই গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল জার্মানি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের তথ্য বলছে, ১৯৭০ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ইউরোপ প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি শুরু করে। সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে সেই নির্ভরতা আরও বেড়েছে। বছরে এখন ৪০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস ইউরোপে সরবরাহ করে রাশিয়া।
সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি