ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে কূটনীতিক প্রচেষ্টা শুরু হয়ে গেছে। রাশিয়া যাতে ইউক্রেনে আগ্রাসন না চালায় তার জন্য বিভিন্ন পক্ষ উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চালাচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা।
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতা ও কূটনীতিকরা আলোচনা শুরু করেছেন। মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গেছেন। তিনি সেখানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। এ বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, যে কারো হুমকির (রাশিয়ার) মধ্যে ইউক্রেন অবশ্যই তার সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখবে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ব্রিটেন কাজ করবে।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে তারা আলোচনায় মিলিত হবেন। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এক ফোনালাপে অংশ নিয়েছেন।
এসব আলোচনার লক্ষ্য হলো ইউক্রেনের সাম্প্রতি উত্তেজনা নিরসন। এ বিষয়ে জাতিসঙ্ঘে মার্কিন কূটনীতিক লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, ইউক্রেন সঙ্কট সমাধানে কূটনীতিক প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্তৃপক্ষ মনে করে যে কূটনীতির মাধ্যমে সঙ্কটের সমাধান হবে এবং পুতিন এসব যুদ্ধ ও সঙ্ঘাতের পথ পরিহার করবেন।
সম্প্রতি ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, সাবেক এ সোভিয়েত রাষ্ট্রের (ইউক্রেন) ওপর আগ্রাসন চালাতে পারে রাশিয়া। কিন্তু, রাশিয়া বলেছে তারা ইউক্রেনে হামলা চালাবে না।
রাশিয়ার অভিযোগ, ন্যাটো এ অঞ্চলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে। রাশিয়া চায় যে ন্যাটো পূর্ব ইউরোপে তাদের সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করুক এবং ইউক্রেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। কিন্তু, রাশিয়ার এসব দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে ন্যাটো।
সূত্র : আল-জাজিরা