সংঘাতে জড়াতে পারে চীন-যুক্তরাষ্ট্র
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া প্রদেশ মনে করে। দীর্ঘদিন ধরেই তাইওয়ানকে তারা নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করার চেষ্টা করছে। যদিও এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এর মধ্যেই তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সামরিক সংঘাতে জড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত কিন গ্যাং। তাইওয়ান ইস্যুতে বেশ অস্বাভাবিকভাবে যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করে একথা বলেছেন কিন গ্যাং।
গত নভেম্বরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্দেশে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে তাইওয়ানের স্বাধীনতার জন্য কোনো সমর্থন দেওয়া হলে, তা হবে আগুন নিয়ে খেলা। এবং যারা এ খেলা খেলবে, তারা অঙ্গার হয়ে যাবে।’
স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওকে (এনপিআর) দেওয়া সাক্ষাৎকারে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তাইওয়ান ইস্যুটি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বারুদবাক্সের সমতুল্য। তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ যদি যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে স্বাধীনতার পথে হাঁটে, (তাহলে) এখানে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় দুটি দেশ সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।’
তাইওয়ানের বর্তমান প্রশাসনকে দোষারোপ করেন চীনা রাষ্ট্রদূত কিন গ্যাং। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও উৎসাহে তারা (তাইওয়ানের প্রশাসন) স্বাধীনতার এজেন্ডা নিয়ে এগোচ্ছে। চীনের সঙ্গে তাইওয়ান কার্ড নিয়ে খেলছে যুক্তরাষ্ট্র।’
গত রবিবারও তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে চীনের ৩৯টি যুদ্ধবিমান। এর আগেও বহুবার এমনটি করেছে চীন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার কিছু মিত্র দেশ মিলে তাইওয়ানকে জাতিসংঘে অর্থবহ অংশগ্রহণের ব্যাপারে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় বেজায় চটেছে চীন। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি আগামী মাসে তাইওয়ান সফর করার কথা রয়েছে।